দক্ষিণ আফ্রিকার একটি স্বর্ণখনি থেকে ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৫ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকার একটি স্বর্ণখনি থেকে ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার

দক্ষিণ আফ্রিকার একটি স্বর্ণখনি থেকে ৩৬ জনকে মৃত ও ৮২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এখন জীবিতদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে মাইনিং ও অভিবাসনের জন্য মামলা দায়ের করা হবে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

গত আগস্টে খনিটি ঘেরাও করে খাদ্য ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। গ্রেফতারের জন্য শ্রমিকদের বেরিয়ে আসতে বাধ্য করা ছিল তাদের উদ্দেশ্য। অবৈধভাবে খনিতে কাজ করার বিরুদ্ধে একটি কঠোর অভিযানের অংশ ছিল এটি।


খনিশ্রমিকদের অধিকার রক্ষাকারী একটি সংগঠনের মতে, খনির গভীরে এখনও কয়েকশ মৃত ও জীবিত শ্রমিক আটকা পড়ে আছেন। সোমবার তাদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, খনির ভেতরে অনেকের মরদেহ পড়ে আছে। আর খাবার পানির অভাবে কোনও রকম টিকে আছেন অনেকে।

খনির প্রায় দু কিলোমিটার গভীরে আছেন শ্রমিকরা। তাদের উদ্ধারে লোহার খাঁচা ব্যবহার করা হয়। উদ্ধারকাজ আরও কিছুদিন চলবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে নিয়মিত তথ্য সরবরাহ করবে তারা।

জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে স্টিলফন্টেইন শহরের ওই খনির সামনে উপস্থিত রয়টার্সের প্রতিনিধি এক ব্যক্তিকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যেতে দেখেছে। এ ছাড়া, কয়েকজন শ্রমিককে মাটিতে বসে থাকতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে একজন অপুষ্টিতে ভুগছেন। পুলিশ ও চিকিৎসাকর্মীরা তাদের ঘিরে রেখেছিলেন।

বাণিজ্যিকভাবে মোটা অঙ্কের লাভ আসা কমে গেলে সেসব খনিতে খননকাজ বন্ধ করে দেয় অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো। এগুলোতেই অবৈধভাবে কাজ করতে আসেন অনেকে। সাধারণ আফ্রিকার অন্যান্য দেশের অবৈধ অভিবাসীরা এসব খনি থেকে অবশিষ্ট সম্পদ আরোহণের চেষ্টা করে থাকেন।

অবৈধ খনন রোধে স্টিলফন্টেইনের খনিতে অভিযান চালানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার। দক্ষিণ আফ্রিকার খনি বিষয়ক মন্ত্রী গোয়েডে মানটাশে জানিয়েছেন, কেবল গত এক বছরেই অবৈধ খনন কাজের মাধ্যমে প্রাপ্ত মূল্যবান ধাতুর আর্থিক মূল্য ৩১৭ কোটি মার্কিন ডলার।