শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা চলছে: প্রেস উইং

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা চলছে: প্রেস উইং

ইসরায়েলি কারাগারে আটক সাংবাদিক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা চলছে। আজ শুক্রবার সকালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, তুরস্কের কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছে যে আজই তাকে বিশেষ বিমানযোগে আঙ্কারায় নেওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে তুর্কি কর্তৃপক্ষ শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হক গতকাল রাতে এই তথ্য জানিয়েছেন। 

প্রেস উইং জানিয়েছে, শহিদুল আলমকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে আটক করার পর জর্ডান, মিসর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহকে ওই সব দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে মুক্ত করার দ্রুত উদ্যোগ নিতে বলা হয়। দূতাবাসগুলো শহিদুল আলমের মুক্তির বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।

পোস্টে আরও বলা হয়, শহিদুল আলম ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দ্বারা অবৈধভাবে আটক হওয়ার পর জর্ডান, মিসর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে সেসব দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। তাঁকে মুক্ত করার জন্য দ্রুত উদ্যোগ নিতে বলা হয়।

দূতাবাসগুলো শহিদুল আলমের মুক্তির বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়।

শহিদুল আলম দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধে এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে গাজার দিকে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নৌযাত্রা শুরু করেছিল। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গত বুধবার এই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা।