কানাডায় ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত:১১ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম
কানাডায় ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

কানাডার পণ্যে অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ বাণিজ্যিক অংশীদার দেশের ওপর অতিরিক্ত ১৫ বা ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছেন তিনি। এতে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ইউএসএমসিএ) নতুন করে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নেকে লেখা চিঠি আপলোড দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আগামী ১ আগস্ট থেকে এই শুল্কহার বাস্তবায়িত হবে।’ কানাডা পাল্টা পদক্ষেপ নিলে শুল্ক হার আরও বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

চলতি বছর মার্চে ট্রাম্প কানাডা থেকে আমদানি করা গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এরপর জুনে তিনি কানাডার স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামে ৫০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেন। এবার তিনি জানালেন, এই শুল্কহার অন্যান্য কানাডিয়ান পণ্যের ওপরও কার্যকর হতে পারে।

এর আগে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এক্সে লিখেছিলেন, ‘আমরা আমাদের শ্রমিক ও ব্যবসার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় অটল থাকব।’ তবে, নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর চলমান আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে নাফটা বাতিল করে এই নতুন ইউএসএমসিএ চুক্তি চালু করা হয়। বর্তমানে, কানাডা ও মেক্সিকো তিন দেশের চুক্তি স্থিতিশীল করতে নতুন করে সমঝোতার পথ খুঁজছে।

চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প দুই প্রতিবেশী দেশের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, যদিও কানাডার জ্বালানি রপ্তানিতে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ করেন, এই দুই দেশ অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার রোধে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

যদিও ইউএসএমসিএ’র আওতায় কিছু পণ্য এখনও শুল্কমুক্ত থাকছে। গত ৬ মে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও কার্নির মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর কার্নি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর প্রস্তাবিত ডিজিটাল সার্ভিস কর প্রত্যাহার করেন।

তবে, ট্রাম্প ক্রমেই বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করছেন। তিনি সম্প্রতি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।

এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, ‘সরাসরিই বলি, বাকি দেশগুলোকে এখন থেকে ১৫ বা ২০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।’

এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের এসব পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে গড়িয়েছে। দেশটির একটি ফেডারেল আদালত এরই মধ্যে রায় দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। এই আপিলের শুনানি আগামি ৩১ জুলাই ওয়াশিংটনের আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।