ইসরায়েলের হামলার মধ্যেই যুদ্ধবিরতির আলোচনা প্রত্যাখান ইরানের


ইসরায়েল হামলা অব্যাহত রাখলে কোনো যুদ্ধবিরতির কথা বিবেচনা করবে না বলে আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী কাতার ও ওমানকে স্পষ্ট জানিয়েছে ইরান। চলামান উত্তেজনার মধ্যে ইরানের এ অবস্থানে বড় সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় সময় রবিবার (১৫ জুন) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মধ্যস্থতার আলোচনা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘কাতার ও ওমানকে ইরান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ‘তারা কেবল তখনই বাস্তবিক অর্থে আলোচনায় বসবে, যখন ইসরায়েলের চালানো হামলার জবাব সম্পূর্ণ হবে।’
সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ইরান বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এর আগে, শুক্রবার (১৪ জুন) ভোরে ইসরায়েল একটি আকস্মিক হামলা শুরু করে। ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় এবং দেশটির পারমাণবিক অবকাঠামোরও কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে অভিযান আরও কঠিন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। এর জবাবে ইরানও কঠোর প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তেহরান বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তারা ‘নরকের দরজা খুলে দেবে’। এই পরিস্থিতিতে চলমান সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণ করার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, কিছু গণমাধ্যমে বলা হয়েছিল, পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য কাতার ও ওমানকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে যুক্ত করতে বলেছে ইরান। এই সংবাদ সঠিক নয় বলে জানান নাম প্রকাশ না করা ওই কর্মকর্তা।
তবে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইরান, কাতার ও ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে ওমান। যদিও ইসরায়েলের সর্বশেষ বিমান হামলার পর সর্বশেষ রাউন্ডের আলোচনা বাতিল হয়েছে। তাছাড়া, কাতারও উভয় পক্ষের মধ্যে সংলাপ সহজ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে, এর মধ্যে ২০২৩ সালে একটি বন্দি বিনিময়ের মধ্যস্থতাও ছিল।
কাতার ও ওমান উভয়ই ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। এরপর ইসরায়েলের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগে যুক্ত হয় এই দেশ দুটি।