আইএস দমনে তালেবানকে সহযোগিতার ঘোষণা রাশিয়ার

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৪ মে ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম
আইএস দমনে তালেবানকে সহযোগিতার ঘোষণা রাশিয়ার
ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তালেবান সরকারকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। আফগানিস্তানে মস্কোর বিশেষ প্রতিনিধি জামির কাবুলভ এ ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ মে) ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই তথ্য জানান।

জামির কাবুলভ বলেন, ইসলামিক স্টেট আমাদের উভয়েরই (রাশিয়া ও আফগানিস্তান) শত্রু। আইএসের আফগান শাখার বিরুদ্ধে তালেবান সরকারের প্রচেষ্টাকে আমরা স্বাগত জানাই ও যথাযথ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা করব।

তালেবান সরকারও জানিয়েছে, তারা দেশ থেকে আইএস নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে। যদিও তাদের কার্যক্রম নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা প্রশ্ন রয়েছে, তবুও রাশিয়ার এমন অবস্থান দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মোড় নিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সম্প্রতি রাশিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের মার্চে মস্কোর কাছে একটি কনসার্টে ভয়াবহ হামলায় ১৪৫ জন নিহত হন, যার দায় স্বীকার করে আইএস। মার্কিন গোয়েন্দাদের মতে, এই হামলায় জড়িত ছিল আফগানভিত্তিক সংগঠন আইএস-খোরাসান।

এই প্রেক্ষাপটেই তালেবান সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে মস্কো। ২০০৩ সাল থেকে রাশিয়ার সন্ত্রাসী তালিকায় থাকা তালেবানকে গত মাসে সেই তালিকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাদ দেওয়া হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এটি তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার এক ধরনের প্রাথমিক পদক্ষেপ।

রুশ প্রতিনিধি কাবুলভ আরও জানান, কাবুল ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে মস্কোতে একজন আফগান প্রতিনিধিকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। আফগান পক্ষ সম্মতি দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, তালেবানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ফলে দুই দেশের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতার সব বাধা দূর হয়েছে।

এছাড়া কৌশলগত গুরুত্বের জায়গা থেকে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী রাশিয়া। বিশেষ করে জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ভাবছে মস্কো। এ বিষয়ে আলোচনা হবে চলতি মাসে রাশিয়ার কাজান শহরে অনুষ্ঠেয় রুশ-আফগান ব্যবসায়িক ফোরামে।

প্রস্তাবিত খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন, গ্যাস পাইপলাইন এবং অবকাঠামো নির্মাণ—যা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স