ঢাকার বাতাসের মানে আজ কিছুটা উন্নতি

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২২ জুন ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
ঢাকার বাতাসের মানে আজ কিছুটা উন্নতি

প্রায়ই বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা ঢাকার বায়ুমান বেশ কয়েকদিন ধরে মাঝারি পর্যায়ে ছিল। তবে গতকাল মানের কিছুটা অবনতি হলেও আজ আবার কিছুটা উন্নতি লক্ষ করা গেছে।

রবিবার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ৮৪, যা বায়ুমানের শ্রেণি অনুযায়ী ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়েছে।

গতকাল (শনিবার) একই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১১২। যেটি সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষের জন্য এই মান অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়।

এদিকে, আজ একই সময়ে ১৮৬ স্কোর নিয়ে দুষিত শহরের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছিল উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল যথাক্রমে পাকিস্তানের লাহোর ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। শহরটির দুটির স্কোর ১৬৭ ও ১৫৩।

তবে ঢাকার মতো প্রায়ই তালিকার প্রথম দিকে থাকলেও আজ ভারতের দিল্লির বাতাসের মানও মাঝারি। ঢাকার মতোই একিইআই স্কোর ৮৪ নিয়ে তালিকার ১৮তম স্থানে রয়েছে এই শহরটি। যেখানে যেখানে ঢাকা রয়েছে ১৭তম স্থানে।

কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।