সাইফকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আরও একজন আটক
সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদ নামে আরেকজনকে আটক করেছে মুম্বাই পুলিশ।
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের বাড়িতে ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও একজনকে আটক করেছে মুম্বাই পুলিশ।
অভিনেতার বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের কাসারভাদাভালিতে হিরানন্দানি এস্টেট এলাকা থেকে রোববার সকালে আটক করা হয়েছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদ নামে ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বাংলাদেশি বলে ধারণা করছে পুলিশ।
তাকে আটকের পর মুম্বাইয়ের পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দিক্ষিত গেদাম সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “চুরির উদ্দেশে তিনি ওই বাড়িতে প্রবেশে করেছিলেন অনুসন্ধান বলছে। ইন্ডিয়ার কোনো নথিপত্র তার কাছে নেই। কিছু জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে মনে হচ্ছে তিনি বাংলাদেশি।”
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওই ব্যক্তি চার মাস ধরে মুম্বাইয়ে থাকছেন। নাম পাল্টে রাখেন বিজয় দাস। তিনি একটি হাউজিং কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
এর আগে সাইফের বাড়ির সিসিটিভি ভিডিও থেকে জড়িত সন্দেহে আকাশ কৈলাস ক্যানোজিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়।
পুলিশ বলছে, ৩১ বছর বয়সী আকাশ মুম্বাই-হাওরা জননেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেনে ছিলেন। ভ্রমণ করছিলেন টিকেট ছাড়াই। শনিবার দুপুর ২টার দিকে ট্রেনটি যখন ছত্রিশগড়েরর দুর্গ রেল স্টেশনে পৌঁছায়, তখন তাকে আটক করা হয়।
আটক দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
সাইফ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয় বুধবার রাত আড়াইটার দিকে। তার বাড়িতে প্রবেশ করা এক ব্যক্তি তাকে ছুরি মেরে পালিয়ে যান। পরে তার ছবিও এসেছে সংবাদমাধ্যমে। ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারী ‘চুরি করতে’ ওই বাড়িতে ঢুকেছিলেন।
হামলার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য একটি গাড়িও বাড়িতে প্রস্তুত ছিল না। উপায় না পেয়ে তাকে অটোরিকশায় করে তাকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান ছেলে ইব্রাহিম আলী খান। সঙ্গে ছিল ছোট তৈমুরও।
পাঁচ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে সাইফের শরীর থেকে ভাঙা ছুরি আড়াই ইঞ্চি টুকরা বের করেন চিকিৎসকরা।
অভিনেতাকে আইসিইউ থেকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তরের তথ্য দিয়ে লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক নীতিন নারায়ণ বলেন, “অস্ত্রোপচার তো বটেই, মেরুদণ্ডের ক্ষতের কারণে আগামী এক সপ্তাহের জন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “সাইফ ভালো আছেন। অস্ত্রোপচারের পর আমার তাকে হাঁটিয়েছি। তিনি সুন্দর স্বাভাবিকভাবে হেঁটেছেন। তেমন একটা ব্যথা এখন নেই। বড় কোনো সমস্যাও আমরা দেখছি না।”