পাকিস্তানের ক্ষুদে ভ্লগার সিরাজের আয়ে নির্মাণ হলো আধুনিক স্কুল

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম
পাকিস্তানের ক্ষুদে ভ্লগার সিরাজের আয়ে নির্মাণ হলো আধুনিক স্কুল
ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে অসংখ্য মানুষের মন জয় করে নিয়েছে পাকিস্তানের মোহাম্মাদ সিরাজ ও তার ছোট্ট বোন মুসকান। তাদের গ্রাম পাকিস্তানের গিলগিত-বালতিস্তানে।

ক্ষুদে ভ্লগার দুই ভাই বোনের কন্টেন্টের ধরন হলো গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মানুষের সহজ-সরল জীবনযাপন তুলে ধরা। তাদের রয়েছে লাখো ভক্ত। তবে খ্যাতি আর আয়ের অর্থ শুধু নিজেদের জন্য খরচ না করে, সিরাজ-মুসকান সেটি কাজে লাগিয়েছে গ্রামের জরাজীর্ণ স্কুলের উন্নয়নে।

অনুদান ও সহযোগিতার মাধ্যমে সেই পুরোনো স্কুল এখন রূপ নিয়েছে আধুনিক ‘জাকি একাডেমি’তে। তাদের এই উদ্যোগ প্রমাণ করেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও সমাজের কল্যাণে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে।

এক ভিডিও বার্তায় বিষয়টি জানান সিরাজের বাবা মোহাম্মদ তাকি। ইউটিউবে এক ভিডিওতে তিনি স্কুলটির জরাজীর্ণ অবস্থার পুরোনো এক ভিডিও তুলে ধরেন। যেখানে স্কুলটির করুণ অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে পড়াশোনা করতে হচ্ছে শিশুদের, কারও পায়ে নেই জুতো, কারও নেই ইউনিফর্ম, নেই মৌলিক সুযোগ-সুবিধাও।

সিরাজের বাবা মোহাম্মদ তাকি জানান, তিনি চাইলেই উন্নত জীবনযাপনের জন্য পরিবার নিয়ে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে চলে যেতে পারতেন। তবে তিনি নিজের গ্রামেই থেকে গেছেন। তাকি বলেন, ‘আমাদের গ্রামটি বালতিস্তান থেকে অনেক দূরে, এখানে তেমন মৌলিক সুবিধা নেই। আল্লাহ সিরাজকে খ্যাতি দিয়েছেন। তখন আমার সামনে দুটি পথ ছিল, পরিবার নিয়ে হয় এখানে থাকব, কষ্ট করে হলেও গ্রামকে উন্নত করব অথবা উন্নত জীবনের খোঁজে ইসলামাবাদে চলে যাব, তবে আমরা গ্রামেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সিরাজের অর্থ দিয়ে কাজ শুরু হলেও এ মহান উদ্যোগ দেখে তাদের পাশে দাঁড়ান আরও কয়েকজন। স্কুলটিকে আধুনিক রূপ দেয়ার ক্ষেত্রে মূল কৃতিত্ব তাদের দিয়েছেন সিরাজের বাবা। দাতা ফৌজিয়া জাকি ও তার ভাতিজি জেহরা জাইদিকে।

প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় সিরাজের যাত্রা শুরু হয় ২০২২ সালে। সহজ সরল ভাষায় গ্রাম ঘুরে ঘুরে নিজের জীবনযাপন তুলে ধরাই ছিল তার কনটেন্টের মূল বিষয়। সঙ্গে থাকত বোন মুসকানকে নিয়ে খুনসুটি। আর এ কারণে ভিডিও কন্টেন্ট শুরু করার মাত্র চার মাসেই পুরো ভারতীয় উপমহাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠে সিরাজ ও মুসকান।