ঢাকা কলেজের নতুন উপাধ্যক্ষকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
ঢাকা কলেজের নতুন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাছিমা আক্তার চৌধুরীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (সরকারি কলেজ-২ শাখা) থেকে এই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রজ্ঞাপন জারির পরেই সাত কলেজের স্নাতক ২য় বর্ষের পরীক্ষা চলার সময় শিক্ষার্থীরা উপাধ্যক্ষের রুমের সামনে জড়ো হতে থাকেন। পরে দরজায় ‘ঢাকা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে শিক্ষা উপদেষ্টার ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার হীন উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে ভাইস প্রিন্সিপাল নিয়োগ দেওয়ায় শিক্ষা উপদেষ্টা এবং নতুন উপাধ্যক্ষকে ঢাকা কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো’- লেখা কাগজ সাঁটিয়ে তালা লাগিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় তাদের ‘নিয়োগ নিয়ে বাণিজ্য, চলবে না চলবে না’, ‘সিন্ডিকেট না শিক্ষা, শিক্ষা শিক্ষা’, ‘অবৈধ ভাইস প্রিন্সিপাল, মানি না মানব না’, ‘সিন্ডিকেটের গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে’, ‘প্রহসন না শিক্ষা, শিক্ষা শিক্ষা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দ আব্দুল্লাহ ফাহাদ বলেন, বাইরে থেকে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ায় আমরা তার রুমে তালা দিয়েছি। গত ৫ আগস্টের পর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে ঢাকা কলেজ থেকেই যোগ্য শিক্ষকদের বাছাই করা হবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দুইজন উপাধ্যক্ষই বাইরে থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এজন্য আজ থেকে আমরা শিক্ষা উপদেষ্টাকে ঢাকা কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি ঢাকা কলেজ থেকে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ না দেওয়া হয় তাহলে আমরা শিক্ষা উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও করার কর্মসূচি ঘোষণা দেব। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই ক্যাম্পাসে আর কখনো শিক্ষা উপদেষ্টা ঢুকতে পারবেন না।
ওমায়ের নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মাত্র ৭ দিনের জন্য তিতুমীর কলেজ থেকে এক শিক্ষককে ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে কেন নিয়োগ দেওয়া হলো? ঢাকা কলেজে কী শিক্ষকের অভাব পড়েছে? আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ. কে. এম ইলিয়াস বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে সাত বা এক দিনের জন্যও নিয়োগ দিতে পারেন। এটা সম্মানের ক্ষেত্রে দিয়ে থাকেন। আমাদের কলেজে এর আগে একদিনের জন্যও প্রিন্সিপাল দায়িত্ব পালনের ইতিহাস রয়েছে। তবে প্রশাসনিক কার্যক্রম করতে গেলে পরিকল্পনার কিছু বিষয় থাকে যা এত কম সময়ে সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে সেবিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।