রাকসু জিএস আম্মারকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারকে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ। তার এই বক্তব্যকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত স্বাগত মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শাকিলুর রহমান বলেন, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিন অফিসে তালা, এমনকি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর অফিসে তালা দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।
আমরা ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সুস্থ রাখতে এর প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছিলাম। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেই প্রতিবাদলিপিকে স্বাগত জানিয়েছে। অথচ রাকসুর কতিপয় ফুটেজখোর নেতা আমাদের প্রতিবাদলিপির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
সালাহউদ্দিন আম্মারকে উদ্দেশ করে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা বলে দিতে চাই, ছাত্রদলের সাথে লাগতে আইসেন না। পুরো রাজশাহীর দরকার নাই, শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে আপনার মতো ফুটেজখোর সালাহউদ্দিন আম্মারকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে সক্ষম, সক্ষম, সক্ষম।
এদিকে শিক্ষকদের নিরাপত্তা চেয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের বৈঠক এবং ছাত্রদল নেতা শাকিলুর রহমানের মন্তব্যের প্রতিবাদে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সালাহউদ্দিন আম্মার।
তিনি লিখেছেন, আল্টিমেটাম দিলাম আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের পক্ষে থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা যদি ক্যাম্পাসে ঢুকে তাহলে জোহা চত্বরে বেধে রাখবো। রেগে গেলো ক্যাম্পাসের ছাত্রদল আর বিএনপি! ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ একই ভাষায় বিবৃতি দিলো, বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা ভিসির কাছে নালিশ দিলো তারা নাকি ক্যাম্পাসে আসতে ভয় পাচ্ছে। বললাম লীগরে আর ভয় পাইতেছে বিএনপির টিচাররা।
ছাত্রদল নেতা শাকিলুর রহমানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন আম্মার আরও লিখেছেন, ছাত্রদলের এক চাচা আজ ঘোষণা দিলো ৩০ মিনিটে তালা মেরে দিবে, বলি চাচা শুনেন! মন দিয়ে শুনবেন! ক্যাম্পাসে ২০০৭ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত কুকুর বিড়ালের মতো এই ক্যাম্পাসে পড়ে থেকে ক্যাম্পাসের বোঝা হবো না। ১ দিন থাকলে থাকার মতো করেই থাকবো।... আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের উৎখাতে কাজ করবো, সাহস থাকলে আসো চান্দাভাই।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল স্বাগত মিছিলের আয়োজন করে। দুপুর দেড়টার দিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ‘মা মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে’, ‘তারেক রহমান বীরের দেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে’, ‘তারেক রহমান ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’—সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, বাংলার বাতাসে যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ ছিল, তা উপেক্ষা করে বাংলার গণমানুষের শক্তির ওপর ভর করে দীর্ঘ ১৮ বছর পর জননেতা তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। দেশের মানুষের মঙ্গল, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যেই তার এই প্রত্যাবর্তন।
তিনি আরও বলেন, ২৫ ডিসেম্বরের পর সারাদেশে যারা মব সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে, বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।
বিপি/আইএইচ
আরও খবর
প্রত্যাশিত সুখবর পেলেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা
ইউজিসি কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি নাজমুল, সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন
বেরোবিতে হাদি-আবরারের নামে ভবনের নামকরণ শিক্ষার্থীদের
আন্দোলনের মুখে দায়িত্ব ছাড়লেন রাবির আওয়ামীপন্থি ৬ ডিন
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবার সফটওয়্যারে