ম্যানেজমেন্ট এফবিএস ক্লাব লিমিটেডের আয়োজনে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব ২০২৫

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম
ম্যানেজমেন্ট এফবিএস ক্লাব লিমিটেডের আয়োজনে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এবং সামাজিক সংগঠন ম্যানেজমেন্ট এফবিএস ক্লাব লিমিটেড অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে আয়োজন করেছে বহুল প্রতীক্ষিত পিঠা উৎসব ২০২৫।

বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উদযাপনে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে ছিল ঐতিহ্যবাহী পিঠার বৈচিত্র্য, সঙ্গীত এবং ক্লাব সদস্যদের প্রাণবন্ত মিলনমেলা। গত শনিবার  ১৮ জানুয়ারি পূর্বাচলের মনোরম লেকপুরি মাঠে আয়োজিত এই উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবার, বন্ধু এবং কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে অংশ নেন।

এই উৎসব আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপন এবং অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একতা ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। অতিথিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পিঠার স্বাদ গ্রহণ করেন, যা শীতের আনন্দকে আরও উপভোগ্য করে তোলে।

বিভিন্ন রঙিন স্টলে পরিবেশন করা হয় ভাপা, পাটিসাপটা, চিতই এবং নকশি পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু পিঠা, যা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের বৈচিত্র্যকে প্রতিনিধিত্ব করে। প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং আমন্ত্রিত শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনা উৎসবে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। সঙ্গীত পরিবেশনায় ছিলেন সাইফুদ্দিন মানিক (সেশন ১৯৯১), আসাদুজ্জামান টিটু (সেশন ১৯৯৮), মেহেদী হাসান (সেশন ২০০৫) এবং অতিথি শিল্পী মিথুন, যারা প্রত্যেকে তাদের অনন্য কণ্ঠে দর্শকদের মুগ্ধ করেন। প্রায় ৪০০-এর বেশি অংশগ্রহণকারী এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।

উৎসব সম্পর্কে ক্লাবের সভাপতি মুকলেসুর রহমান বলেন,

"পিঠা উৎসব শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠান নয়; এটি আমাদের সাংস্কৃতিক শিকড়ের উদযাপন এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের একটি পথ। আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই স্পনসর, স্বেচ্ছাসেবক এবং সকল অংশগ্রহণকারীকে, যারা এই উৎসবকে সফল করতে সহযোগিতা করেছেন।"

সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. তেহসিন উল ফারহান-এর পরিকল্পনায় এবং সহকারী সাংস্কৃতিক সম্পাদক ড. খাদিজা রহমান তানচি-র দক্ষ পরিচালনায় এই উৎসবের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

ম্যানেজমেন্ট এফবিএস ক্লাব লিমিটেড ভবিষ্যতে এমন আরও সৃজনশীল ও প্রাণবন্ত উদ্যোগের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে, যা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।