বাণিজ্যের আকার আরো বহুগুণ বৃদ্ধি করার সম্ভাবনা রয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, মেশিনারিজ ইন্ডাস্ট্রিজ, অবকাঠামো খাত ও নির্মাণ খাতে বিনিয়োগে তুর্কিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিনিয়োগের কার্যকর দিকগুলো ঠিক করতে বৈঠকে বসবে জয়েন্ট ইকনমিক কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তুর্কিয়ের বাণিজ্য মন্ত্রী প্রফেসর ড. ওমর বোলাটের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ তুর্কিয়েতে রফতানি করে ৫০০ মিলিয়ন ডলার এবং তুর্কিয়ে থেকে আমদানি করা হয় ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। আমরা একটু বেশি রফতানি করি, কম আমদানি করি। এর মধ্যে গত বছর তুর্কিয়েতে আমাদের রফতানি ৩০ শতাংশের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, তুর্কিয়ে ও বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৭ কোটির মত। এত বড় জনসংখ্যার ভিত্তিতে বাণিজ্যের এই আকারটা যথেষ্ট নয় বলে আমরা মনে করি। বাণিজ্যের আকার আরো বহুগুণ বৃদ্ধি করার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনা অর্জন করার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা খাতগুলো চিহ্নিত করেছি। খাতগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য জয়েন্ট ইকনোমিক কমিশনে আলোচনা করে ফাংশনাল খাতগুলো ঠিক করবো। গার্মেন্টস, ফার্মেসি, নির্মাণ খাত, খাদ্যসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তুর্কিয়ে চাইলে বাংলাদেশ আলাদা ইকোনমিক জোন করে দিতে আগ্রহী জানিয়ে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের সময়ে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে টিসিবির কার্ড দেওয়া হয়েছিল। একই পরিবারের অনেককে দেওয়া হতো। সেটি বাদ দিয়ে ১ কোটি থেকে ৬৩ লাখ করা হয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে বাকি ৩৭ লাখ কার্ড দেওয়া হবে, এ সংখ্যা প্রয়োজনে আরো বাড়ানো হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাজার নিয়ে রমজানে কোনও সমস্যা হবে না। প্রয়োজনীয় মজুদ রয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. আবদুর রহিম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।