কোনো কোম্পানি বন্ধ করা হবে না: গভর্নর

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম
কোনো কোম্পানি বন্ধ করা হবে না: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানকেই বন্ধ হতে দেবো না। এটাই আমাদের লক্ষ্য।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, এস আলম বা বেক্সিমকোর মতো কোম্পানির বিরুদ্ধে নয়। কারণ এই কোম্পানিগুলো জাতীয় সম্পদ।

তিনি বলেন, আমাদের একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান কিন্তু আলাদা। তবে ফান্ড ডাইভারশন যেনো না হয় এটাতেও আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে। কোনো প্রতিষ্ঠানকে মারতে দেব না। একটি প্রতিষ্ঠান মারা খুব সহজ, কিন্তু গড়ে তোলা কঠিন ও সময়ের ব্যাপার। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে দেশ উপকৃত হয়। কাজেই আমরা ব্যর্থ হতে চাই না। আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যর্থ হতে দেব না।

এসময় গভর্নর বলেন, তাড়াহুড়া বা ইমোশন অল্প সময়ের জন্য মানুষকে উত্তেজিত করে। কিন্তু ইমোশন দিয়ে দেশ চালালে সেটার ফল ভালো হয় না। আমাকে বাস্তববাদী হতে হবে, আবার সঠিক নীতি প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবর্তন আনতে হবে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, সবার আমানতের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। আমাদের প্রধান লক্ষ্য সবার আমানত ফেরত দেওয়া। এজন্য নানা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করা হবে, করা হচ্ছে। আবার সেটা বাচ্চা নয় চাইলো আর দিয়ে দিলাম, এ রকমও হবে না। সব হিসাব-নিকাশ করে টাকা দেওয়া হবে ব্যাংকে।

সংবাদ সম্মেলনে ইসলামি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, গত তিন মাসে আমাদের ব্যাংকের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের ২৩০০ কোটি টাকার ঋণাত্মক কারেন্ট একাউন্ট ব্যালেন্স এখন দুই হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। এটা আরও কমবে। গত তিন মাসে আমরা ৪৯৭২ কোটি টাকার নতুন আমানত সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছি। এসময়ে নতুন ঋণ বিতরণ পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। নতুন করে ২৭০০ এজেন্ট পয়েন্টে তিনজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের আমানতের পরিমাণ অনেক গুণ বাড়বে।

লুটপাট হ‌ওয়া টাকা আদায় সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যাংকটির এমডি বলেন, আমরা এরই মধ্যে চারটা আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থা নিয়োগ করেছি। তাদের কাজ হচ্ছে সার্বিক বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা। তদন্ত শেষ হলে আমরা অ্যাকশনে যাব। আমাদের ব্যাংকের ক্ষতি নিরূপণসহ ব্যাংকের টাকা আদায় প্রক্রিয়াকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে প্রথম ভাগ সম্পন্ন হবে।