নির্বাচনের আগেই ধান-চাল সংগ্রহ শেষ করতে চায় সরকার
নির্বাচনের আগেই ধান-চাল সংগ্রহ শেষ করতে চায় সরকার বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) আমন মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। ধান-চাল সংগ্রহ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমরা যখন চলে যাব তখন নিয়ম অনুযায়ী যে পরিমাণ খাদ্য মজুদ থাকার কথা, তার চেয়ে বেশি থাকবে ইনশাআল্লাহ। আগামী বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে খাদ্য অধিদপ্তরের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা- কর্মচারীকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে হবে, এজন্য তারা তখন নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মধ্য ফেব্রুয়ারির আগেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান-চাল সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার শৈথিল্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে আমাদের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় সবটা সংগ্রহ করে ফেলার জন্য আমরা চেষ্টা করব। বর্তমান সরকার কিন্তু পরবর্তী সরকারের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে কাজগুলোকে কমফোর্টেবল রেখে যাবে। এ ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ বছর ধান কেনা হবে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা করে, সিদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি এবং আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে। এরমধ্যে বেশ কিছু চুক্তি হয়ে গেছে। আজকে থেকে আনুষ্ঠানিক সংগ্রহ শুরু হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি যে টার্গেট দেয়া হয়েছে সেটা পূরণ করতে পারবো। আমরা ৫০ হাজার টন ধান, ৬ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার টন আতপ চালের যে টার্গেটটা দিয়েছি, সেটা কিন্তু মিনিমাম। তবে আমরা বলেছি টার্গেটটা ম্যাক্সিমাম যে যত করতে পারে তত ভালো। আমরা যত বেশি সংগ্রহ করতে পারবো তত বেশি বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমাতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের বিতরণের জন্য আমরা সব সময় একটা মজুদ গড়ে তুলি। সেই মজুদটা যাতে সন্তোষজনক ও নিরাপদ পর্যায়ে থাকে সে বিষয় আমরা সবসময় সক্রিয় ও সচেতন থাকি। এজন্য আমাদের কিছু পরিমাণ আমদানি করতে হয়। এবছর বোরতে আমরা রেকর্ড পরিমাণ ধান চাল সংগ্রহ করেছি৷
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমাদের পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম ক্রমান্বয় সম্প্রসারিত হয়েছে। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৫ লাখ বৃদ্ধি করে ৫৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি আগে ছিল পাঁচ মাস এ বছর এটা ছয় মাস করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস এগুলোর মাধ্যমে চালের দাম বাজারে দীর্ঘদিন পর্যন্ত স্থিতিশীল আছে।
