সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা
 
                                 
                                                                    সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। চড়া পোল্ট্রি বাজারও। ব্রয়লারের দাম কেজিতে আরও দশ টাকা বাড়িয়েছেন খুচরা দোকানীরা। এজন্যে পাইকার ও খামারীদের দুষছেন। অপরদিকে, যোগান বাড়ায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজির বাজারে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমনই চিত্র।
বাজারে অনেকটাই বেড়েছে আগাম শীতকালীন সবজির যোগান। ধীরে হলেও দাম নাগালে আসছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অনেক কৃষক এখনও জমি থেকে সবজি তোলেনি। আগামী ২ সপ্তাহে সবজির দাম আরও কমবে।
এদিকে, সাগর-নদীতে জাল ফেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠেছে গত ২৬ অক্টোবর। তাই চাষের মাছের পাশাপাশি বাজারে সামুদ্রিক মাছের যোগান বেড়েছে। এর সাথে বেড়েছে খাল-বিলের মাছের সরবরাহ। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও, বাজারে ইলিশের তেমন দেখা মিলছ না। দামও বেশ চড়া।
তবে, যোগান বাড়লেও, মাছের দামে কোন প্রভাব পড়েনি। গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের বাড়তি দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। বেশিরভাগ মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। সাড়ে চারশো থেকে পাচশো টাকা কেজির নীচে মিলছে না রুই-কাতলা। আইড়-বোয়ালের দেখা মিললেও, গুণতে হবে ৮শ' থেকে ১২শ' টাকা কেজি। হাজার টাকা কেজির নীচে মিলছে না ভাল মানের চিংড়ি।
বেশ কিছুদিন স্থিতিশীল থাকার পর, নতুন করে চড়েছে পোল্ট্রি বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। জাত ভেদে ৩শ' থেকে ৩২০ টাকার কেজির নীচে মিলছে না সোনালি জাত। দেশি মুরগির দাম হাঁকা হচ্ছে ৬শ' টাকা কেজি। পাইকার ও খামার পর্যায় থেকে দাম বৃদ্ধির অভিযোগ করছেন খুচরা বিক্রেতারা।
দামে কোন হেরফের নেই গরু আর খাসির মাংসের বাজারে। এক কেজি গরুর মাসের জন্য দিতে হবে সাড়ে সাতশো থেকে ৭৮০ টাকা। আর খাসির মাংসের জন্য গুণতে হবে ১১শ' টাকা।
