সাবেক গভর্নর-ডেপুটি গভর্নর ও পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্ত শুরু

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৪ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
সাবেক গভর্নর-ডেপুটি গভর্নর ও পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্ত শুরু
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ও চার ডেপুটি গভর্নরের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। ব্যাংক দখল, অর্থ লোপাট ও অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়ে বিতরণের অভিযোগে তাদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিএফআইইউ-এর একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে দেশের সব ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। তলব করা তথ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ব্যাংক হিসাব, লেনদেন বিবরণী, হিসাব খোলার ফরম ও পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য। বন্ধ হিসাবের তথ্যও আলাদাভাবে দিতে বলা হয়েছে।

তদন্তের আওতায় থাকা সাবেক গভর্নররা হলেন—আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার।

অভিযোগ অনুযায়ী, ফজলে কবিরের মেয়াদে ব্যাংক দখল ও লুটপাটের প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা আব্দুর রউফ তালুকদারের সময়েও চলতে থাকে। বিশেষ করে রউফ তালুকদারের সময় টাকা ছাপিয়ে ব্যাংক খাতে ঋণ বিতরণের মাধ্যমে বিপুল অর্থ লোপাটের সুযোগ তৈরি হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

সাবেক ডেপুটি গভর্নরদের মধ্যে রয়েছেন এস কে সুর চৌধুরী, এস এম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছের। 

এদের মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি। একই মামলায় গ্রেফতার রয়েছেন বিএফআইইউ-এর সাবেক প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস। মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকারি ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের অবৈধ আর্থিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, আর নাছেরের বিরুদ্ধে নীতিমালা শিথিল করে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

তদন্তের আওতায় আছেন বিএফআইইউ-এর সাবেক প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসান ও মো. মাসুদ বিশ্বাসের পরিবারের সদস্যরাও। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাসুদ বিশ্বাসকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।

আর্থিক খাতে দীর্ঘদিন ধরে চলা নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক বছর পর এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেই বড় পরিসরে তদন্ত শুরু করল দুদক।