যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনার শর্তবলি প্রকাশযোগ্য নয়: অর্থ উপদেষ্টা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৩৫ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনার শর্তবলি প্রকাশযোগ্য নয়: অর্থ উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক শুল্ক আলোচনার শর্তাবলি জনসম্মুখে প্রকাশযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু বিষয় আছে যেগুলো প্রকাশ করা যায় না। আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলব না।’

তিনি বলেন, ‘এটা বহুপাক্ষিক আলোচনা নয়, এটা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) বা জাতিসংঘ নয়, যেখানে একটি প্রস্তাব গৃহীত হলে সবাই জানতে পারে।’

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘হারটা আরেকটু কমলে ভালো লাগত। এখনকার হার যথাযথ না হলেও সহনীয়। ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামানো হয়েছে, এটা খুব একটা খারাপ নয়। অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশের অবস্থান খারাপ বলা যাবে না।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, দেশের নিট পোশাক (নিটওয়্যার) কারখানাগুলো দ্রুত এই শুল্ক কাঠামোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে—তবে ওভেন কারখানাগুলোর জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ তাদের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ব্যবস্থা দুর্বল।

তিনি বলেন, ‘চুক্তিটি এখনো সই হয়নি। কোথায় আরও শুল্ক কমানো যায় তা আমরা পর্যালোচনা করব।’

অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচিত সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার আর্থিক খাতে কিছু স্বল্পমেয়াদি সংস্কার এনেছে, তবে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য সময় লাগবে।

তিনি জানান, ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছেবাংলাদেশ ব্যাংক। যেটি বাস্তবায়নে সময় লাগবে। পুঁজিবাজারেও কিছু সংস্কারের চেষ্টা চলছে, কিছু অগ্রগতি আশা করা যায়।

এছাড়া এনবিআর অধ্যাদেশ সংশোধনের মাধ্যমে এনবিআরকে দুটি বিভাগে ভাগ করার পরিকল্পনার কথা জানান উপদেষ্টা—একটি রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং অন্যটি রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

সরকার যেসব প্রকল্প নিয়েছে তা সময়োপযোগী ও দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য কিনা সে দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এই সরকার যেহেতু সীমিত সময়ের জন্য, তাই এমন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে—যা বাস্তবায়নযোগ্য।

গত এক বছরে সরকারের সাফল্য সম্পর্কে এক প্রশ্নে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, অর্থনীতি এক সময় ধ্বংসের মুখে ছিল, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

অর্থনীতিতে তখন অস্থির অবস্থা ছিল, যা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। এখন তা কিছুটা স্বস্তিকর জায়গায় এসেছে, বলেন তিনি।

মুদ্রাস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন তা তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সম্পূর্ণ স্থিতিশীল হতে আরও সময় লাগবে। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি এখনও একটি চ্যালেঞ্জ।