আরও এক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল এনবিআর

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৪৫ পিএম
আরও এক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল এনবিআর

এবার জনস্বার্থে লোকমান আহমেদ নামে আরও এক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তিনি এনবিআরের কর অঞ্চল-২, ঢাকার কর পরিদর্শক (গ্রেড-১০) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রোববার (৩ আগস্ট) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, লোকমান আহমেদ ইতোমধ্যে সরকারি চাকরির ২৫ বছর পূর্ণ করেছেন। এজন্য তাকে জনস্বার্থে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। প্রচলিত বিধি অনুযায়ী তিনি সব অবসর সুবিধা পাবেন। তাছাড়া জনস্বার্থে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি রাজস্ব কর্মকর্তাদের আন্দোলনে লোকমান আহমেদ তার পদমর্যাদার মধ্যে অন্যতম নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছেন। আন্দোলনের পর এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ভীতি কাজ করতে শুরু করে।

পরে ‘ভয়ভীতি মুক্ত ও পক্ষপাতহীন’ হয়ে কাজ করার জন্য এনবিআর কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তাছাড়া, এনবিআর চেয়ারম্যানকেও অতীতের বিরোধ ভুলে দেশের জন্য কাজ করার জন্য বলেন উপদেষ্টা। এতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।

প্রসঙ্গত, আন্দোলন ও কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে দেশজুড়ে এনবিআরের অধীন রাজস্ব আদায় কার্যক্রম প্রায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছিল। গত ২৮ ও ২৯ জুন এনবিআরের প্রধান শাখা, বিশেষ করে কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগ, এনবিআর রিফর্ম ইউনিটি কাউন্সিলের ডাকা ‘পূর্ণ কর্মবিরতি’ ও ‘এনবিআর অভিমুখে পদযাত্রা’ কর্মসূচির কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

আন্দোলনরত এনবিআর রিফর্ম ইউনিটি কাউন্সিল প্রশাসনিক অনিয়ম, কর্মকর্তা হয়রানি ও সংস্কার প্রচেষ্টায় বাধার অভিযোগে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ কাঠামোগত সংস্কারের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে আসছিল।

গত ১২ মে সরকার এক আদেশে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতিমালা বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ গঠনের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই প্রতিবাদ শুরু হয়।

এর ধারাবাহিকতায় কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলনরত কর্মকর্তারা কর্মবিরতি, অনশন, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে যান। এতে দেশের কর, ভ্যাট ও শুল্কসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।