রাজশাহীতে মদপানে ৪ জনের মৃত্যু
রাজশাহীতে দেশীয় অ্যালকোহল পানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় মারা গেছেন তিন জন। আর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন একজন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে অ্যালকোহল পান করলেও বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়।
মোহনপুরে অ্যালকোহল পানে অসুস্থ হয়ে পড়া আরও চার জন রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মারা যাওয়া চার জনের সঙ্গে তারা অ্যালকোহল পান করেছিলেন।
মৃতরা হলেন- মোহনপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মো. টোটন (৪০), একই গ্রামের মোন্তাজ আলী (৪০) ও করিশা গ্রামের মো. জুয়েল (৩৫)। আর রামেক হাসপাতালে মারা গেছেন আতোয়ার হোসেন (৩৫)। আতোয়ার নওগাঁর মান্দা উপজেলার গণেশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এছাড়া রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজন হলেন- মোহনপুর উপজেলার দুর্গাপুর কাচারিপাড়া গ্রামের আকবর আলী (৪৩), দুর্গাপুর শাহপাড়া গ্রামের মো. ফিরোজ (২৬), দুর্গাপুর মোন্নাপাড়া গ্রামের মো. পিন্টু (২৫) ও দুর্গাপুর খাঁপাড়া গ্রামের মো. মোনায়েম (২৫)। তারা সাতজন একসঙ্গে অ্যালকোহল পান করেছিলেন।
রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ফারুক হোসেন জানান, অ্যালকোহল পান করে অসুস্থ হয়ে পড়া আতোয়ারকে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। এর আট মিনিট পর তিনি মারা যান। পরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে।
এদিকে মোহনপুর থানার ওসি আবদুল হান্নান জানান, মোহনপুরের সাত জন গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এলাকায় অ্যালকোহল পান করেন। এরপর বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়। অন্য চার জনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানান, টোটন ও জুয়েল অ্যালকোহল বিক্রি করতেন। অন্যদের সঙ্গে তারাও পান করেছিলেন। এ দুই জন বাড়িতেই মারা যান। পুলিশ খবর পাওয়ার আগেই তাদের লাশ স্বজনেরা দাফন করে ফেলেন। বৃহস্পতিবার মোন্তাজের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এরপর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে মরদেহ স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়।
ওসি জানান, এ ব্যাপারে মোন্তাজ আলীর ছেলে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত মাদক ব্যবসায়ীদের আসামি করা হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।