মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীকে হাত-পা বেঁধে হত্যা
জীবিকার তাগিদে ৯ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন নাটোরের মোহাম্মদ কবির। কথা ছিল আগামী ৩ জানুয়ারি ছুটিতে দেশে ফিরবেন। কিন্তু মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে মালয়েশিয়ার জহুর জেলার ‘উলু তিরাম’ এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন তিনি।
নিহত মোহাম্মদ কবির নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কইলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি জহুর এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী (সিকিউরিটি গার্ড) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বুধবার সকালে তার মৃত্যুর খবর নাটোরে পৌঁছালে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন নিহতের স্ত্রী-সন্তানসহ স্বজনরা।
নিহত কবিরের স্ত্রী শিউলি বেগম জানান, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে কবির মালয়েশিয়ায় ছিলেন। টানা ৭ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালে তিনি ছুটিতে দেশে আসেন। ছুটি কাটিয়ে ওই বছরের এপ্রিলে আবারও মালয়েশিয়া চলে যান। আগামী ৩ জানুয়ারি তার ফের ছুটিতে দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন আর তিনি জীবিত ফিরবেন না।
নিহতের একমাত্র সন্তান সোহাগ জানান, তার বাবা যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন, গত রাতে সেখানে মালামাল লুট করার জন্য হানা দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা কবিরের হাত-পা বেঁধে তাকে হত্যা করে। বুধবার সকালে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মালয়েশিয়া পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সোহাগ বলেন, ‘গত রাত ১টায় আব্বা আমাকে ডিউটির ছবি পাঠিয়েছিলেন। এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। পরে প্রতিষ্ঠান থেকে সকালে জানানো হয় আব্বা আর নেই। দুর্বৃত্তরা তাকে মেরে ফেলেছে।’
পরিবারের সদস্যরা মোহাম্মদ কবিরের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
বিপি/আইএইচ