হত্যাকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখাতে লাশ নিয়ে হাসপাতালে

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪১ পিএম
হত্যাকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখাতে লাশ নিয়ে হাসপাতালে

গাজীপুরে আর্থিক লেনদেনজনিত বিরোধের জেরে রনী হাসান নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার লাশ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে ফেলে রেখে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। তবে প্রধান আসামি ফাহাদ সরকার টুটুলকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে।

রোববার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা ফাহাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আগামী মঙ্গলবার এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

র‌্যাব-১ এর গাজীপুর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নাফিজ বিন জামাল জানান, শনিবার দুপুরে ক্লুলেস হত্যা মামলার আসামি টুটুলকে মহানগরের মনুরখোলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত রনী হাসান পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার সোনাতলা গ্রামের রহিম মোল্লার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় বসবাস করতেন।

র‌্যাব-১ জানায়, গত বছরের ২৯ আগস্ট সকালে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তির লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বারান্দায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে সাবিনা আক্তার এসে লাশটি তাঁর স্বামী রনীর বলে শনাক্ত করেন। একই বছরের ৩১ আগস্ট সাবিনা তাঁর স্বামীকে হত্যার অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়, রনীর পিঠে, ঘাড়ে ও দুই পায়ের উরুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি আমলে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। ক্লুলেস মামলার তদন্তে নেমে ফাহাদ সরকার টুটুলের সম্পৃক্তা পায় র‌্যাব। শনিবার সদর থানার মনুরখোলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব কর্মকর্তা নাফিজ বিন জামাল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফাহাদ সরকার টুটুল হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধে রনীকে হত্যা করে দুর্ঘটনা হিসেবে চালানোর জন্য লাশটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বারান্দায় রেখে পালিয়ে যায় তারা।

গাজীপুর সদর থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আগামী মঙ্গলবার তার রিমান্ডের শুনানি হবে।