শিক্ষককে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখল গ্রামবাসী


পানি পড়া দেওয়ার নামে নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন গ্রামবাসী। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে থানায় মামলা না করায় তাঁকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার বগুড়ার শাজাহানপুরের আমরুল ইউনিয়নের নারচি গ্রামে। আজ বুধবার শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক ব্যক্তির নাম আব্দুল ওয়ারেছ (৫৫)। তিনি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ফলিয়া পাকুরতলা গ্রামের বাসিন্দা এবং বগুড়া শহরতলির সাবগ্রাম ঘুনিয়াতলা সামছুল উলুম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক।
ভুক্তভোগী জানান, গতকাল দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলযোগে নারচি গ্রামের একটি বাড়িতে ১০ জন নারীকে সমবেত করেন। ওই দুই ব্যক্তি হাদিস নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর তাঁদের মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য সাহায্য চাইলে উপস্থিত নারীরা ২৫০ টাকা সংগ্রহ করে তাঁদের দেন।
এরপর আটক ব্যক্তি একটি ঘরে বসে নারীদের পানিপড়া, তেলপড়া ও ঝাড়ফুঁক দেওয়া শুরু করেন। দুই নারীকে তেলপড়া দেওয়ার পর ভুক্তভোগী নারী পানিপড়া নেওয়ার জন্য গ্লাসে পানি নিয়ে ঘরে ঢোকেন। আব্দুল ওয়ারেছ সেই পানি পান করে আরও পানি আনতে বলেন। তিনি পানি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করলে তাঁকে চোখ বন্ধ করে থাকতে বলেন ওয়ারেছ।
ভুক্তভোগী নারী আরও জানান, তিনি চোখ বন্ধ করলে আব্দুল ওয়ারেছ প্রথমে তাঁর কপালে হাত বুলিয়ে দেন। এরপর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি চিৎকার দিলে একজন পালিয়ে গেলেও আব্দুল ওয়ারেছকে আটক করা হয়। পরে গ্রামের লোকজন এসে তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুল ওয়ারেছকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী নারীসহ গ্রামের লোকজন থানায় এসেছিলেন। তাঁরা কেউ মামলা করবেন না মর্মে লিখিত দেন। পরে আব্দুল ওয়ারেছের ভাই টুকু মিয়া থানায় এলে তাঁর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।