ট্রেন ছাড়তে দেরি, ক্ষুব্ধ যাত্রীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ


পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ট্রেন ছাড়তে দেরি করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শরৎনগর স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ে ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেরামত কাজ চলায় সোমবার রাতে শরৎনগর স্টেশনে একতা এক্সপ্রেস থামানো হয়। কিন্তু ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় যাত্রীরা হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। প্রথমে তারা স্টেশন মাস্টারকে মারধরের চেষ্টা চালান। এরপর আরও যাত্রী নেমে তাণ্ডব চালালে স্থানীয়রা বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত যাত্রীরা স্থানীয়দের ওপর হামলা চালান। নজরুল ইসলাম নামে এক স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলা চালান যাত্রীরা। পরে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে অন্য গ্রামবাসীদের খবর দেওয়া হয়। মুহূর্তেই শতশত মানুষ একজোট হয়ে যাত্রীদের প্রতিহত করে। একপর্যায়ে ট্রেনের যাত্রীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও ট্রেনটিকে স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেয়।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা হাসিনা খাতুন বলেন, অন্য একটি ট্রেনের লাইনচ্যুত একটি ইঞ্জিন রেললাইনে থাকায় একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ৮টা ৩২ মিনিট থেকে ১০টা ১০ মিনিট পর্যন্ত শরৎনগর স্টেশনে অপেক্ষমাণ ছিল। এসময় কিছু যাত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে স্টেশন মাস্টারের রুমে গিয়ে তাকে মারার চেষ্টা করেন। আটকানো থাকায় রুমে প্রবেশ করতে পারেনি। পরে স্থানীয় মসজিদের ইমামসহ স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তাদের সাথে যাত্রীদের বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়ে জানতে পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।