সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে হরতাল-অবরোধ চলছে


বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে জেলা জুড়ে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে হরতাল পালন করছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। এ কর্মসূচি চলবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।
এদিকে সকাল ৮টা থেকে হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে মিছিল শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মিছিল করেন নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা। এসময় তারা হরতালের সমর্থনে স্লোগান দেন। চারটি আসন ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ইসিকে হুঁশিয়ারি দেন। যতদিন পর্যন্ত চারটি আসন ফিরিয়ে না দেওয়া হবে, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের দশানী, নওয়াপাড়া, কাটাখালি, মোল্লাহাট সেতু, বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাজার, খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ফয়লা, মোংলা বাসস্ট্যান্ডসহ জেলার অন্তত ২০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সড়কের ওপর গাড়ি, গাছের গুড়ি ও বেঞ্চ রেখে অবরোধ করছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত সীমানার গেজেট অনুযায়ী বর্তমান আসনের সীমানা: বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হচ্ছিল।
পূর্বের আসন সীমানা: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।