রাঙামাটিতে পানিবন্দী দুই হাজার পরিবার

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২২ পিএম
রাঙামাটিতে পানিবন্দী দুই হাজার পরিবার

বৃষ্টি ও উজানের পানিতে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন জেলার প্রায় দুই হাজার পরিবার। হ্রদে পানি বাড়ায় এক ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হ্রদে পানি বাড়ার কারণে রাঙামাটি শহর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, বরকল ও বিলাইছড়ির নিচু এলাকা ডুবে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে দিন কাটছে বাসিন্দাদের।

আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে শহরের কুমড়াটিলা, লুম্বিনী, আসামবস্তি, নোয়াপাড়া, মুসলিম পাড়া, ব্রাহ্মণটিলাসহ শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা হয়। এসব এলাকায় অনেক সড়ক পানিতে ডুবে রয়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে অনেক বাসাবাড়িতে।

শহরের নোয়াপাড়ায় বসবাস করেন রাঙামাটি সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. মহিউদ্দিন।

তিনি বলেন, তার এলাকায় কয়েক দিন ধরে পানি উঠেছে। এতে সড়ক দিয়ে চলাচল করতেই মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এলাকায় একটি শ্মশান রয়েছে। পানি বাড়ার কারণে মানুষ সেখানে মৃতদেহ নিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন।

একই এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া আক্তার বলেন, এলাকার সড়ক পানিতে ডুবে থাকায় কর্মস্থলে যেতে তিনি ভোগান্তিতে পড়ছেন। প্রতিদিন ভেজা কাপড় নিয়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে হচ্ছে।

নোয়াদাম মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমার বাড়ি দুই মাস ধরে পানিতে ডুবে আছে। এখন খাটের ওপরেই রান্না করা, খাওয়া, ঘুমানো সবকিছু করতে হচ্ছে। নোয়াপাড়া ও ব্রাহ্মণটিলা এলাকায় প্রায় আড়াই শ পরিবারের একই অবস্থা।’

বাঘাইছড়ি উপজেলার ৩৭ নম্বর আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ার কারণে আমাদের ইউনিয়নের অবস্থা খুব খারাপ। গতকাল থেকে ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড পুরো ডুবে রয়েছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশ ডুবে গেছে। তিনটি ওয়ার্ডে পানিবন্দী অন্তত তিন শ পরিবার।’

কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, হ্রদের পানি বাড়ার কারণে গতকাল দুপুরে কাপ্তাই বাঁধের পানি ৬ ইঞ্চি করে ছাড়া হয়। তবে পানি বেড়ে যাওয়ায় পরে বাঁধ এক ফুট করে খোলা হয়েছে। প্রতি সেকেন্ডে ১৮ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। আজ সকাল ৯টায় কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা ১০৮ দশমিক ৮০ ফুট এমএসএল (মিনস সি লেভেল) ছিল বলে জানান তিনি।