সড়ক অবরোধ করে ককটেল ফাটিয়ে ডাকাতি


মেহেরপুরের গাংনী থানা থেকে মাত্র ৩০০ গজ দূরে তিনটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আবারও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন পথচারীর কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ অন্য মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাত দল।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত আনুমানিক পৌনে ১০টার দিকে গাংনী-ধানখোলা সড়কের বিল্লাল নার্সারির কাছে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাদের কাছে হাতবোমা ও দেশীয় তৈরি ধারাল অস্ত্র ছিলো বলে জানান ভুক্তভোগীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাংনী থানার পুলিশের একটি দল।
২০ জন পথচারীর কাছ থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা লুট করেছে ডাকাতরা। ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, প্রতিদিনের মতো গাংনী শহরে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ৭-৮ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হঠাৎ রাস্তা অবরোধ করে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তারা পথচলতি কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ জনের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতরা প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যে পুরো ঘটনা ঘটিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে।
ভুক্তভোগী ইয়াসির আরাফাত আলীর কাছ থেকে ৭ হাজার, আব্দুল হালিমের কাছ থেকে ৬০০, শাহজামাল আলীর কাছ থেকে ৫ হাজার, রেজিয়া খাতুনের কাছ থেকে ৭০০, মিন্টু হোসেনের কাছ থেকে আড়াই হাজার, মহব্বত আলীর কাছ থেকে ২২০০, মিন্টু আলীর কাছ থেকে পৌনে ১০ হাজার, কুরসিয়া খাতুনের কাছ থেকে আড়াই হাজারসহ আরও কয়েকজনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগী এসব ব্যক্তিদের বাড়ি গাংনী উপজেলার ধানখোলা, মহিষাখোলা ও আড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে গাংনী থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত ডাকাতি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি এবং জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।
এদিকে এমন ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাতের বেলা চলাচলকারী সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দ্রুত পুলিশি টহল জোরদার ও অপরাধীদের গ্রেফতার দাবিতে এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।
কয়েক মাস আগেও একই স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। কয়েকদিন পর পুড়াপাড়া জুগিন্দা রাস্তাতেও একই ঘটনা ঘটে। এভাবে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।