স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক কারাগারে

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৭ জুন ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক কারাগারে

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) কক্ষে ডেকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি এক মাদ্রাসা শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. আব্দুল করিম (৩০)। তিনি উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের দড়ি কোমরপুর দারুস সুন্নাহ সালাফিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। আব্দুল করিম সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার পাতাখালি গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে কুমারখালী আলাউদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী ও তার ছোট ভাই (৭) মাদ্রাসার সামনের সড়কে বৃষ্টির পানিতে গোসল করছিল। এ সময় মাদ্রাসার এক ছাত্রের (১১) মাধ্যমে মেয়েটিকে মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত শিক্ষকের কক্ষে ডেকে নেন ওই শিক্ষক। এরপর তিনি কক্ষের দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে তার শরীরের আপত্তিকর স্থান স্পর্শ করেন, ভুক্তভোগীর পায়জামা খোলারও চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় মেয়েটি।

পরে তার স্বজন ও স্থানীয়রা এসে ওই শিক্ষককে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে আটক করে।

এরপর ঘটনার দিন রাতেই ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করে। মামলায় আটক শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ (শুক্রবার) সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বলে, ‘মাদ্রাসার সামনের সড়কে বৃষ্টির পানিতে গোসল করছিলাম। সে সময় হুজুর এক ছাত্রের মাধ্যমে তার কক্ষে নিয়ে যেয়ে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। আমি তার উপযুক্ত শাস্তির জন্য থানায় মামলা করেছি।’

কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল করিমকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।