কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট


কুষ্টিয়ার মিরপুরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদল অ্যাম্বুলেন্সে থাকা মৃতের স্বজনদের কাছ থেকে নগদ প্রায় ৩২ হাজার ৬০০ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে।
বুধবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের দুর্গাপুর মাঠের মধ্যে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম ডাকাতির ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
মৃতের স্বজনরা জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পোড়াদহ ইউনিয়নের সৌদিরাজপুর গ্রামের নিয়ামত আলীর স্ত্রী আয়েশা খাতুন (৬০) মারা যান। এরপর, সেখান থেকে লাশ নিয়ে তারা অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহী থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা হন। রাত ২টার দিকে দুর্গাপুর মাঠের মধ্যে পান বরজের কাছে ডাকাতদল অ্যাম্বুলেন্সের গতিরোধ করে।
মৃতের ভাই রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বোনের লাশ নিয়ে আসার সময় কালিতলার মধ্যে একটা পানের বরজের সামনে বাঁশের কাবাড়ি দিয়ে রাস্তা আটকে রাখে ৪ থেকে ৫ জনের একটি ডাকাতদল। তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। আমার কাছে ২০ হাজার টাকা ছিল, ছোট বোনের কানে স্বর্ণের দুল ছিল—সব নিয়ে গেছে। অন্যদের কাছ থেকেও নগদ টাকা নিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘কতবার মিনতি করেছি—ভাই, আমার বোন মারা গেছে। আমরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মেডিকেল থেকে নিয়ে আসছি। আমাদের কাছে কিছু নেই। এসব বলার পরেও তারা জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে আমাদের সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়।’
মৃতের ছোট বোন বলেন, ‘ডাকাতদের অনুরোধ করে বলি—ভাই, আপনাদেরও মা-বোন আছে। দেখেন, আমার বোন মারা গেছে। তবুও তারা আমার কান থেকে একজোড়া দুল খুলে নেয়। এমনকি তারা আমার বোনের মুখ খুলে দেখে, সত্যিই সে মারা গেছে কি না!’
ওসি মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে ঘটনাটি জানার পরে অভিযুক্তদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।’