মানিকগঞ্জে চাঁদা না দেওয়ায় দাড়ি টেনে গালাগাল ও মারধরের অভিযোগ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৪ জুন ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম
মানিকগঞ্জে চাঁদা না দেওয়ায় দাড়ি টেনে গালাগাল ও মারধরের অভিযোগ

চাঁদা না দেওয়ায় দাড়ি ধরে টানাটানি ও অশালীন ভাষায় গালাগালসহ মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নাসিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।

সোমবার (২৩ জুন) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানিক কম্পিউটার নামের দোকনের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী আলী আজম মানিক (৩৩) এ ঘটনার পর পরই ঘিওর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তবে অভিযোগ দেওয়ার ১৬ ঘণ্টা পার হলেও অভিযুক্ত নাসিমকে এখনও আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লিখিত অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত নাসিম ভূঁইয়া প্রায়ই ভুক্তভোগী আলী আজম মানিকের দোকানে বিভিন্ন কাজ নিয়ে আসতো। তবে কাজ শেষে ঠিকমত টাকা দিতো না। পাওনা টাকা চাইলেই নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়াসহ চাঁদা দাবি করে। কিন্তু চাঁদা দিতে অনীহা প্রকাশ করলে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ভুক্তভোগীকে ব্যবসা করতে দেবে না বলেও হুমকি দেয়।

গতকাল রাতে জরুরি কিছু কাজ নিয়ে তার দোকানে যান নাসিম। তবে অন্য একজন কাস্টমারের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তাকে অপেক্ষা করতে বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং ভুক্তভোগীর দাড়ি ধরে টানা হেচড়া করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ মারধর করে নাসিম। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়াসহ ব্যবসা করতে দেবে না বলেও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় অভিযুক্ত নাসিম। এ ঘটনার পরে ভুক্তভোগী ঘটনার দিনে রাতেই ঘিওর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ পাওয়ার পরে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হবে বলে জানায় পুলিশ।

ঘিওর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান খান কুদরত বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি, তবে নাসিম আমাদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তাকে কখনও কোনো মিটিং বা মিছিল করতে দেখিনি।

এ বিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী আলী আজম মানিকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘ওনি (অভিযুক্ত) নাসিম আমার দোকানে প্রায়ই বিভিন্ন কাজ নিয়ে আসতো। আমি তার কাজগুলো করেও দেই। কিন্তু কাজ শেষ করে ঠিকমত কাজের টাকা দিতো না। আমি তার কাছে পাওনা টাকা চাইলেও আমাকে হুমকি দিতো, আমাকে ব্যবসা করতে দেবে না। গতকাল রাতে জমির খারিজের কাজ করতে দোকানে আসে। দোকানে অন্য কাস্টমার থাকায় তাকে অপেক্ষা করতে বলি। এর পরই তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং আমার দাড়ি ধরে টানা-হেচড়া করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। আমি থানায় অভিযোগ করেছি এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।

এ বিষয়ে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।