ভোলা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত ১৩ হাজার ৮০০ স্বেচ্ছাসেবী

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৩ মে ২০২৫, ০২:৪১ পিএম
ভোলা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত ১৩ হাজার ৮০০ স্বেচ্ছাসেবী

বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। 

এতে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এমনি শঙ্কায় দেশের চার সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির উপ-পরিচালক মো: সাহাবুদ্দিন বাসস'কে জানিয়েছেন, ১৩ হাজার ৮'শ সেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আগামীকাল (২৪ মে) শনিবার সকালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে।

এদিকে সকাল থেকে ভোলার নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী উত্তাল রয়েছে। কখনও মেঘ আবার কখনও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করছে পুরো জেলা জুড়ে। কোথাও আবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে বলে জানিয়েছে, বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে আসন্ন ঝড় মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে কর্মকর্তাদের সতর্ক রাখা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে। যাতে প্রবল জোয়ারের পানিতে ভোলা শহর রক্ষা বাঁধসহ জেলার যেকোনো নদী তীরবর্তী বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে গেলে তা সংস্কার করা যায়।

এদিকে দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় ৮৬৯ টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও ১৯ টি কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ওদিকে গত কয়েকদিনে আবহাওয়ার বৈরীভাগ ভোলা উপকূলের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সঠিক সময়ে ঝড়ের পূর্বাভাস পৌঁছে দেয়ার দাবি তাদের।

জেলার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বাসস'কে জানান,উপকূলীয় জেলা ভোলা ও তৎসংলগ্ন জেলাগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। এসময় মাছধরা নৌকা-ট্রলারগুলোকে নদীর তীরবর্তী স্থানে থাকতে অনুরোধ  করা হয়েছে। জেলায় বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।