অপহরণের ২ মাসেও মেলেনি খোঁজ, এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া হলো না অনুপমার


নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অপহরণের ২ মাসেও খোঁজ মেলেনি এসএসসি পরীক্ষার্থী অনুপমা তাহিয়ানের (১৬)। সহপাঠীরা পরীক্ষা দিলেও মেয়ে সন্তান অপহরণের শিকার হওয়ায় সারাক্ষণ কান্নাকাটি করছে তার পরিবার। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চুপ থাকায় আরও ভেঙে পড়েছেন বাবা-মা।
নিখোঁজ এসএসসি পরীক্ষার্থী অনুপমা তাহিয়া নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের অলি উদ্দিনের মেয়ে। সে স্থানীয় বাংলা বাজারের মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী ছিল।
জানা যায়, বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় মোহাম্মদ সাকিব নামের এক ছেলে প্রায় অনুপমাকে উত্যক্ত করতো। গত ৬ মার্চ সকালে স্থানীয় বাংলা বাজার থেকে সাকিবের হাতে অপহরণের শিকার হন এসএসসি পরীক্ষার্থী অনুপমা তাহিয়ান। একই দিন কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করে এবং গত ৩ মে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা না পেয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন অনুপমার বাবা-মা।
নিখোঁজ পরীক্ষার্থীর মামা মো. শাহেদ বলেন, বিজ্ঞান বিভাগে নিজ ক্লাসে অনুপমার রোল নম্বর ছিল দুই। শিক্ষক ও বাবা-মায়ের আশা ছিল ভালো ফলাফল করবে সে। কিন্তু অপহরণের ঘটনা বাঁধ সাধলো। সবার সন্তান পরীক্ষা দিচ্ছে কিন্তু অনুপমার বই-খাতা, স্কুল ড্রেস সেই আগের স্থানেই পড়ে আছে। প্রথম দিকে পুলিশ তৎপরতা দেখালেও এখন নির্বিকার হয়ে পড়েছে।
মো. শাহেদ আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি একটা ছেলে তাকে অপহরণ করেছে। তারপর আমরা ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম কিন্তু তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে পুলিশের সহযোগিতায় তারা আবার পালিয়ে যায়। যেই ছেল অপহরণ করেছে সে নাকি দেশের বাইরে পালিয়ে গেছে। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
ভুক্তভোগীর মা জোহরা খাতুন বলেন, অপহরণের দুই মাসেও আমার মেয়ে উদ্ধার হয়নি। আমি অপহরণ মামলা করেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য চেয়েছি। অপহরণকারী সাকিব তাকে বিভিন্ন সময়ে ডিস্টার্ব করতো। সব তথ্য প্রমাণ শৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়ার পরেও ফলাফল শূন্য। শুনেছি অপহরণকারী সাকিব বিদেশ চলে গেছে। তার সহপাঠী সবাই পরীক্ষা দিলেও আমার মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারেনি।
এবিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, সাধারণ ডায়েরি পেয়েই আমরা একাধিকবার চেষ্টা করেছি উদ্ধার করার জন্য কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। ভুক্তভোগীর মা মামলা দায়ের করেছেন। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি খুব দ্রুতই আমরা অগ্রগতি পাব।