করতোয়া নদীর প্রায় ১৭ একর জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৩ পিএম
করতোয়া নদীর প্রায় ১৭ একর জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান

বগুরায় ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) দখলে থাকা করতোয়া নদীর প্রায় ১৭ একর জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময় নদীর অংশে থাকা বেসরকারি সংগঠনটির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিসিএল গ্লাস ফ্যাক্টরির বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়। এতে প্রায় দুই একরের মতো জমি দখলমুক্ত হয়।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, নদীর অংশ দখল মুক্ত করতে বুধবার সকাল থেকে টিএমএস’র অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিসিএল গ্লাস ফ্যাক্টরির অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলা হয়। নদীর জমিতে সংস্থাটির আরেকটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস, অক্সিজেন প্লান্ট এবং শহীদ মিনার নির্মাণ করেছে। পর্যায়ক্রমে সেই স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে নদীর বাকি অংশ দখল মুক্ত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস গোকুল, বাঘুপাড়া ও নওদাপাড়া এলাকায় করতোয়া নদীর বিভিন্ন অংশে বর্জ্য ফেলে দখল করতে শুরু করে। দখল নিয়ে নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েক দফা নদীর ওই অংশে ভূমি জরিপ হয়। তবে এর আগে কখনোই সংস্থাটির দখলে থাকা জমিগুলো উদ্ধার করা যায় নি। 

নদীর ভূমি জরিপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবশেষ গত ডিসেম্বরে ভূমি জরিপে করতোয়া নদীর ১৬ দশমিক ৯৭ একর জমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে দখলে রেখেছে বলে প্রমাণিত হয়। এছাড়া, নদী কমিশনের জরিপেও একই চিত্র উঠে আসে। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে অবৈধ দখল ছেড়ে দেয়ার জন্য সংস্থাটিকে নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু তারা সরকারের আদেশ না মেনে উল্টো নদীর দখল এলাকায় আরও স্থাপনা তৈরি করতে থাকে। 

টিএমএসএস’র অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিসিএলের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সারোয়ার মোহাম্মদ বলেন, করতোয়া নদীর যে অংশে আমাদের স্থাপনা রয়েছে, সেই জমি লিজ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হোসনা ফারজানা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নদীর কোনো অংশ কাউকে লিজ দেয়ার এখতিয়ার কারও নেই।