উদ্ধারকৃত গাঁজা বিক্রি মাদক ব্যবসায়ীর কাছে, জড়িত ৬ পুলিশ


নরসিংদীর শিবপুরের একটি লটকন বাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধারকৃত ৯৬ কেজি গাঁজা মালখানায় জমা না দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে জেলার ৬ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যের বিরুদ্ধে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এ ঘটনায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কলিমুল্লাহ দীর্ঘ তদন্ত শেষে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে পুলিশের জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে।’
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন— নরসিংদীর ডিবি পরিদর্শক কামরুজ্জামান, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার জাকির হোসেন, নরসিংদী সদর পুলিশ কোর্টের মালখানার অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) (নিরস্ত্র) মো. শামিনুর রহমান এবং এক নারী সদস্যসহ তিন কনস্টেবল।
হান্নান বলেন, ‘পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ নরসিংদীর শিবপুরের একটি লটকন বাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে নরসিংদী ডিবি পুলিশ। উদ্ধারকৃত গাঁজা আদালতের মালখানায় জমা না দিয়ে কিংবা ধ্বংস না করে মাদক বিক্রেতার নিকট বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে নরসিংদী ডিবির পরিদর্শক কামরুজ্জামানসহ কয়েক পুলিশের বিরুদ্ধে।
পরবর্তীতে ডিবি পরিদর্শক কামরুজ্জামান ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার জাকির হোসেনকে প্রথমে নরসিংদী পুলিশ লাইনে ও পরে ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়। ঘটনা খতিয়ে দেখতে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কলিমুল্লাহকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং তদন্তের জন্য ৩ দিন সময় বেধে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে আবেদনের মাধ্যমে তদন্তের সময় বৃদ্ধি করেন তদন্ত কর্মকর্তা। রোববার আনুষ্ঠানিক এতদিনের তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।