সীমান্তে বিএসএফের মারধরে বাংলাদেশি যুবক নিহতের অভিযোগ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম
সীমান্তে বিএসএফের মারধরে বাংলাদেশি যুবক নিহতের অভিযোগ
ছবি : সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্তে ইন্ডিয়ান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে বাংলাদেশি এক যুবককে ধরে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনে আহত যুবক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মারা যান। সন্ধ্যায় উপজেলার সেজামোড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত যুবক হলেন- সেজামোড়া গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মুরাদ মিয়া (৩৬)।

নিহত মুরাদের স্ত্রী রত্না বেগম অভিযোগ করে বলেন, সীমান্ত ঘেঁষা তাদের জমিতে মঙ্গলবার বিকেলে সবজি দেখতে যান মুরাদ। কিন্তু ফিরে না আসায় তিনি বিভিন্ন জায়গায় স্বামীর খোঁজ করতে থাকেন। এ সময় এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে কল করে জানান যে, বিএসএফ তার স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। মাগরিবের নামাজের পর একটি বাচ্চা এসে তাকে জানায় যে, বিএসএফ তাকে মারধর করে ফেলে রেখে গেছে। আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় বিএসএফ তাকে নিয়ে মারধর করেছে। 

তিনি আরও জানান, পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আনার পথে মুরাদ মারা যান।

নিহতের বড় বোন আমেনা খাতুন জানান, সন্ধ্যায় বিজিবির কাছ থেকে খবর পেয়ে তার ভাইকে গুরুতর অবস্থায় ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মুরাদ মারা যায়। তিনি জানান, সীমান্ত পিলার থেকে তাদের বাড়ি ১৫০ গজ দূরে। তার ভাই সীমান্তে জমি চাষ করে। এ ছাড়াও বাজারে তাদের ব্যবসা রয়েছে। তার ভাইকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এ সময় ভাই হত্যার বিচার দাবি করেন আমেনা খাতুন। 

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সফিউল্লাহ আরাফাত জানান, জরুরি বিভাগে আনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখার কথা জানায়।

বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, বিএসএফ জিরো লাইন অতিক্রম করার কথা নয় বা করবে না। মুরাদ নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে আবার ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু কি কারণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন বা কে তাকে ধরে নিয়ে গেছে এবং তাকে মেরেছে তা এখনো জানা যায়নি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।