পাথর তুলতে বাধা, ২০ লাখ টাকার গাছ কেটে প্রতিশোধ নেয়ার অভিযোগ


নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনে বাধা দেয়ায় এক পরিবেশ কর্মীর প্রায় ২০ লাখ টাকার গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তারই আপন চাচার বিরুদ্ধে।
পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বড়বিল্লাহ গ্রামে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সহ-সভাপতি কাজী মকছেদুর রহমান তার আপন চাচা কাজী মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে মকছেদ জানান, তার আপন চাচা বহুদিন ধরে জমিতে নিষিদ্ধ ড্রিল ড্রেজার দিয়ে বিনা বাধায় পাথর উত্তোলন করে আসছিলেন। পরিবেশ আন্দোলনের নেতা হিসেবে এলাকার প্রকৃতি রক্ষা ও ভূমিকম্পের হাত থেকে তেঁতুলিয়াকে বাঁচাতে ড্রেজারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন মকছেদ। জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিও দেন তিনি। এতে করে মাহবুব ভাতিজা মকছেদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে এ কাণ্ড করেন।
বিষয়টি তেঁতুলিয়া মডেল থানাকে অবগত করলেও প্রভাবশালী ড্রেজার মেশিন মালিকদের দাপটে ৭ দিনেও থানা পুলিশ আনত অভিযোগ এজাহার হিসেবে গণ্য করেনি বলে জানান মকছেদ। পরে তিনি জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন।
মকছেদ বলেন, ‘২০ বছর আগে জমিতে আমি ও আমার বাবা ১ হাজার ২০০ ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ করি। ঈদের আগের দিন থেকে আমার চাচা গাছ কাটা শুরু করেন। এ পর্যন্ত দুইশ'র বেশি গাছ কেটে বিক্রি করেছেন তিনি।’
সরেজমিনে দেখা যায়, অভিযোগকারীর চাচা মাহবুবের নির্দেশে কাঠ ব্যবসায়ী রহমতুল্লাহ ১০-১৫ জন নিয়ে গাছ কাটছেন। কাটা গাছগুলো কয়েকটি ভ্যানে লোড করে কাঠের মিলে নেয়া হচ্ছে।
রহমতুল্লাহ জানান, মাহবুবুরের থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে গাছ কিনেছেন তিনি। এখন গাছ কেটে স'মিলে নিয়ে যাচ্ছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাহবুব বলেন, ‘এ জমি আমার। খতিয়ানের মালিকানায় কাজী মকসেদের কোনো জমি নাই, তার বাবার জমি আছে। আর আমার বিরুদ্ধে ড্রেজার দিয়ে পাথর উত্তোলনের বিষয়টিও মিথ্যা।’
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিঞা বলেন, ‘অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আসল জমির মালিকানা ও গাছের মূল মালিক কে তা প্রমাণে দুই পক্ষকে থানায় দালিলিক প্রমাণ প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তী তদন্তের পর বাকি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’