রাকসু নির্বাচনে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন


উৎসবমুখর পরিবেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় ১৭টি ভোট কেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। সকাল সোয়া ৯ টায় ড্রীনস কমপ্লেক্সে মুন্নুজান হল এবং ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ভবনে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের ভোট দিতে দেখা যায়।
ভোটাররা জানান, ৩৫ বছর পর রাকসুর প্রথম ভোট দিতে পেরে তারা অনেক আনন্দিত।
সকাল ১০টায় শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ভোটকেন্দ্রের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব পোদ্দার। তিনি বলেন, ‘এটাই আমার জীবনের প্রথম ভোট। উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভোট দিতে যাচ্ছি, খুবই ভালো লাগছে। দিনশেষে যেই বিজয়ী হোক সকল প্রার্থী ও ভোটাররা মিলে ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর এটাই আমাদের বড় পাওয়া।’
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ধীরে ধীরে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। আশা করছি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ হবে। সবাই জীবনের প্রথম রাকসু ভোট দিচ্ছে এজন্য আলাদা উচ্ছ্বাস কাজ করছে৷ আশা করি সারাদিনের ভোটগ্রহণ ও রেজাল্ট শেষেও এই পরিবেশ বজায় থাকবে।
মুন্নুজান হলের বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী সানজিদা বলেন, আমি বিতর্কের মানুষ। প্রার্থী হয়েছি একই বিষয়ে। আমার হলের আপুরা আমার যোগ্যতা দেখেই আমাকে ভোট দেবেন আশা করছি।
শিবির সমর্থিত প্যানেল সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী ফাহিম রেজা বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। সবাই খুব উচ্ছ্বসিত। তবে অমোচনীয় কালি যেটা উঠার কথা ছিল না, সেটা উঠে যাচ্ছে। আমরা এটা প্রশাসনকে অবহিত করেছি।
রাকসুর ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন। অন্যদিকে রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে মোট প্রার্থী ৮৬০ জন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে দুই হাজার পুলিশ, ৬ প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব।
এ নির্বাচনে ১১টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে আলোচিত ৮টি প্যানেল হলো- ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতৃত্বে গঠিত ‘রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ’, সাবেক সমন্বয়কদের নেতৃত্বে ‘আধিপত্যবাদ বিরোধী ঐক্য’, বাম জোটের ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’, ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ঘোষিত ‘অপরাজেয় ৭১, অপ্রতিরোধ্য ২৪’, সাবেক আরেক নারী সমন্বয়কের নেত্বতে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন মনোনীত ‘সচেতন শিক্ষার্থী পরিষদ’।