চাকসু নির্বাচনে নিরাপত্তায় থাকবে ম্যাজিস্ট্রেট


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভবনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ বহুমুখী নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজিত ‘চাকসু নির্বাচনের সার্বিক বিষয় ও আইনশৃঙ্খলা’ সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চাকসু নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের দিন পাঁচটি ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটগ্রহণ হবে ওএমআর পদ্ধতিতে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রতিটি ভবনের ডিনকে রিটার্নিং অফিসার এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে স্টুডেন্ট ছাড়া বহিরাগত কেউ ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবে না।’
আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, ‘নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভবনে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন। এ ছাড়া ট্রান্সপোর্টের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে চার জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রবেশপথে প্রতিদিন টহল দিচ্ছে দুটি করে টহল টিম।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৩ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাইরের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। একইসঙ্গে বহিরাগতদের প্রবেশেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে আইডি কার্ড বহন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম যৌথভাবে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করবে। পাঁচটি ভবনের জন্য আলাদা নিরাপত্তা স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের সময় প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া কোন ও নিরাপত্তাকর্মী কাউকে ভবনে প্রবেশ করতে দেবে না।’
এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘প্রায় ৩৬ বছর পর আমরা চাকসু নির্বাচনের আয়োজন করেছি। দীর্ঘদিন ধরে এই নির্বাচন হয় না। আমরা এটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। এই নির্বাচন যেন একটি স্বচ্ছ, ইনক্লুসিভ (অংশগ্রহণমূলক) নির্বাচন হয়, তা আমরা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মকভাবে কাজ করছি। নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তাছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিনসহ নির্বাচন কমিশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।