সাম্য হত্যার বিচারসহ ঢাবি শিক্ষার্থীদের চার দাবি

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৯ মে ২০২৫, ০৯:২১ পিএম
সাম্য হত্যার বিচারসহ ঢাবি শিক্ষার্থীদের চার দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডর ঘটনা রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনার বহিঃপ্রকাশ বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল শিক্ষার্থী। এ সময়ে সাম্য হত্যার বিচার নিশ্চিতসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।

সাম্য হত্যাকাণ্ডর দ্রুত বিচার, দোষীদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনিক গাফিলতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতা, দেশজুড়ে নাগরিক নিরাপত্তার বেহাল দশা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এতে তারা সাম্য হত্যাকাণ্ডের একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী তদন্তের দাবি জানান।

এ ছাড়া, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা, তদন্তের প্রতিটি ধাপ জনসমক্ষে তুলে ধরা এবং দায়িত্বহীনতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়র প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ড, রাতের আধাঁরে শেখ হাসিনার ঘৃণাস্তম্ভে গ্রাফিতি মুছে ফেলা, বিশ্ববিদ্যালেয়ের চারুকলার শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করেন শিক্ষার্থীরা।

সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর থেকে দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে নানা স্তরে গভীর শূন্যতা ও সংকট দেখা দিয়েছে এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বেহাল দশা ও অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান মিশু। তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃত খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্তের প্রতিটি ধাপ জনসম্মুখে তুলে ধরা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে তাদের দায়িত্বহীনতার জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাম্য ছিল একজন সদা সক্রিয় তরুণ, যিনি গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন। এই হত্যাকাণ্ড তাই ব্যক্তিগত শোক নয়, এটি আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বুকে এক রক্তাক্ত আঘাত। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার চাই। পাশাপাশি আমরা চাই এই হত্যার পেছনে কাঠামোগত ব্যর্থতা ও প্রশাসনিক গাফিলতির ও স্থায়ী সংস্কার।’

চার দফা দাবিগুলো হলো— দ্রুততম সময়ে শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা, দায়িত্বগ্রহণের পর গত নয় মাসে ক্যাম্পাসে দুই হত্যাকাণ্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ, গত নয় মাসে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্নকারী সব ঘটনার যথাযথ বিচার নিশ্চিত করা এবং ক্যাম্পাস এবং নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাঠামোগত ও নীতিগত সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার, মাদক-সন্ত্রাস দমন, নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও উদ্যানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তিনির্ভর করাসহ সার্বিক তৎপরতা বৃদ্ধি করা।