ইউআইইউ বন্ধে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির উদ্বেগ


ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। এমন সিদ্ধান্তে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সমিতির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান এবং সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আবেদীনের সই করা যৌথ বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইউআইইউ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করছি, শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যা ও যৌক্তিক দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আকারে উপস্থাপনের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।
‘কোনো কারণে যৌক্তিক সমাধান না হলে, অংশীজন প্রতিষ্ঠান ও রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে অবহিত করার সুযোগ রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনায় শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট এবং শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হওয়া কখনোই কাম্য নয়।’
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় অভিভাবকদের কষ্টার্জিত অর্থের ওপর নির্ভরশীল। এখানে সময়ের মূল্য অপরিসীম। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে নিয়মিত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন অপরিহার্য। তা না হলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হয়।
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সতর্ক থাকা জরুরি উল্লেখ করে বলা হয়, দেশ-বিদেশে আমাদের ক্যাম্পাস ও শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলাবোধের সুনাম সুপ্রতিষ্ঠিত। যেকোনো ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক ঘটনায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন, শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট, শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ কিংবা প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক ঘটনা এড়াতে সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি। একই সঙ্গে অধ্যবসায়, শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আশা প্রকাশ করে যে, উদ্ভূত সমস্যার দ্রুত ও সুষ্ঠু সমাধান করা সম্ভব হবে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহনশীল, আইনানুগ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বানও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।