আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা আন্দ্রে রাসেলের


সবাইকে চমকে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। জানিয়ে দিয়েছেন জ্যামাইকার সাবিনা পার্কে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন তিনি।
৩৭ বছর বয়সী রাসেল ২০১৯ সাল থেকে শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলছেন। এ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে ৮৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
রাসেলের মারকুটে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ক্রিকেটভক্তরা ব্যাপক পরিচিত। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের খেলা আসলেই ডাক পড়ে ডানহাতি এই ব্যাটারের। সবাই হয়তো অপেক্ষায় ছিলেন ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চও কাঁপাবেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটার।
কিন্তু ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাত্র ৭ মাস আগে অবসরের ঘোষণা দিলেন রাসেল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে একটি টেস্ট ও ৫৬টি ওয়ানডে খেলা রাসেল বলেন, ‘এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিনিধিত্ব করাটা আমার জীবনের সবচেয়ে গর্বের অর্জনগুলোর একটি। ছোটবেলায় কখনো ভাবিনি এই জায়গায় আসতে পারবো। কিন্তু যত খেলেছি, তত খেলাটাকে ভালোবেসেছি এবং বুঝেছি আমি কী অর্জন করতে পারি। এই অনুপ্রেরণাই আমাকে উন্নতির পথে ঠেলেছে। কারণ আমি চেয়েছি ‘মেরুন’ জার্সিতে একটি চিহ্ন রেখে যেতে এবং অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে।’
নিকোলাস পুরানের পর দুই মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া দ্বিতীয় হাই-প্রোফাইল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটার হলেন রাসেল। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্বাচকরা রাসেলের এই সিদ্ধান্তে বরাবরের মতোই বিস্মিত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০১২ ও ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন রাসেল। ২০১৬ সালে ফাইনালে দ্বিতীয় ওভারে ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলসকে আউট করেছিলেন তিনি।
রাসেলের অবসর নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ড্যারেন স্যামি বলেন, ‘আন্দ্রে সবসময়ই ছিলেন একজন পেশাদার এবং তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি যখন তার অধিনায়ক ছিলাম কিংবা এখন কোচ, তার মধ্যে কখনোই দেশের হয়ে পারফর্ম করার ক্ষুধা কমে যায়নি। আমি তার পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য শুভকামনা জানাই এবং আশা করি সে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে থাকবে।’