ঐক্য ধরে রাখতে অভিন্ন শত্রু চিহ্নিত করুন: সরকারকে ডা. জাহিদ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
ঐক্য ধরে রাখতে অভিন্ন শত্রু চিহ্নিত করুন: সরকারকে ডা. জাহিদ

ষড়যন্ত্র মোকাবিলা ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অভিন্ন শত্রু চিহ্নিত করে তাদের প্রশাসন থেকে সরাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, ‘স্বৈরাচারের দোসররা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে ঘাপটি মেরে আছে। ফনা তোলার সুযোগ খুঁজছে তারা। তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য চেষ্টা করছে, করবে, করতেই থাকবে। কাজেই তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করুন। তাদের প্রশাসন থেকে এবং আপনাদের আশপাশ থেকে সরিয়ে দিন।’

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (জেটেব) উদ্যোগে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা : প্রেক্ষিত টেক্সটাইল সেক্টার’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, ‘পত্রিকা খুললেই দেখবেন, একটা মামলায় (হত্যা মামলা) তাদের (আওয়ামী লীগের) দুইজন নেতাকে আসামি করা হয়েছিল এবং সেখানে তদন্ত চলছে। তদন্ত কর্মকর্তা তাদের বাদ দিয়ে অর্থাৎ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য যখন যাচ্ছেন, তখন আবার ওই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেটিকে প্রতিরোধ করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইউনূস স্যারের (প্রধান উপদেষ্টা) প্রতি আস্থাশীল, পৃথিবীর মানুষের আস্থা আছে। দেশের মানুষ একদম নিঃস্বার্থভাবে সরকারকে সহযোগিতা করছে। কাজেই তাদের (সরকার) সিদ্ধান্ত নিতে হবে একেবারে বলিষ্ঠ, আরও যুগোপযুগী, আরও দ্রুততার সঙ্গে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘মানুষের আকাঙ্ক্ষা বোঝার চেষ্টা করুন। মানুষের অধিকার দ্রুততার সঙ্গে ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করুন, তাহলেই মানুষ আপনাদের সাধুবাদ জানাবে। ইতিহাস আপনাদের ধারণ করবে।’

‘…দ্রুততার সঙ্গে জনগণকে তার অধিকার আদায়ের সুযোগ দিন। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে দেশ কোন পথে যাবে, আগামী দিনের বাংলাদেশ কেমন হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন শুনি, ৫৩ বছরে সংস্কার হয়নি, তখন আমাদের মনে কষ্ট লাগে। কারণ যিনি বলেন, তার বয়স ৫৩ হয়নি। বাংলাদেশের সংস্কারের যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, তা তিনি জানেন না অথবা স্বীকার করতে চাননি অথবা বুঝতে পারেননি।’

জেটেব সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এবি এম রুহুল আমীন আকন্দ। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।