সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যাশা: মঈন খান
বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। গণতন্ত্রের পুনরুত্থানের জন্য এটিই এখন জাতির একমাত্র চাওয়া বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার ২৪ নম্বর ধারায় নারী ও শিশুর অধিকারের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই দফাগুলো স্মরণ করে আমরা ভবিষ্যতে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের ধারা পুনরুদ্ধার করবো। তিনি সুদূর লন্ডন থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন, ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই দেশে ফিরে এসে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ৩টায় পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল অনুষ্ঠান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, ২৫ বছর আগে বিএনপি সরকার থাকাকালে আমি লক্ষ্য করেছিলাম তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি কেবল ঘরে বসে রাজনীতি করেননি, তৃণমূল পর্যায়ে গিয়ে জনগণের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তুলেছিলেন। আজও তিনি লন্ডনে থেকেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হচ্ছেন, তাদের কথা শুনছেন।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের যে আলোচনা এখন চলছে, তা তারেক রহমান আড়াই বছর আগেই উপস্থাপন করেছেন। তাই বিএনপিকে সংস্কার শেখানোর প্রয়োজন নেই বরং অন্যদের তার কাছ থেকেই শেখা উচিত।
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের শিক্ষা বিষয়ক মাহাদী আমিন, বিএনপির প্রেস উইংয়ের সদস্য সাইরুল কবীর খান, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, পাকুন্দিয়া বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকের জালাল উদ্দীন প্রমুখ।
খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, পাকুন্দিয়া উপজেলার ৮৪টি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার ২১১ জন শিক্ষার্থী চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ ১০ জনসহ মোট ৪০ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী সবার জন্য সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার আল আশরাফ মামুন।
