প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকুক, প্রধান উপদেষ্টাকে সালাহউদ্দিন

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকুক, প্রধান উপদেষ্টাকে সালাহউদ্দিন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আমরা চাই না, প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর মধ্যে কোনো রকমের ভারসাম্য নষ্ট হোক। আমরা সেটি অ্যাফোর্ড (সামলে নেওয়া) করতে পারব না এই মুহূর্তে। আমরা চাই, আপনার সঙ্গে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। রাষ্ট্র একটা ব্যালেন্সড অবস্থায় থাকতে হবে। আমরা নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো রকমের ঝুঁকির মধ্যে যেতে চাই না, যেতে পারব না। সেটা আমরা অ্যাফোর্ড করতে পারব না।’

আজ বুধবার রাতে জুলাই সনদ নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় এসব কথা বলেন সালাইউদ্দিন আহমদ। 

বৈঠকে বক্তব্যে নির্বাচন সামনে রেখে সরকারি কর্মকর্তাদের পদায়ন নিয়েও কথা বলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আজকে সচিবালয়ে যে সমস্ত নিয়ম, বদলি-পদায়নের জন্য আপনি মন্ত্রিপরিষদের একটা “কেবিনেট কমিটি” করে দিয়েছেন, এটার কোনো চর্চা নাই। এটার কোনো ট্র্যাডিশন (প্রচলন) নেই। এটা কোনো নিয়ম নয়। তারা যা করছে পদোন্নতি বা নিয়োগ-বাদলির মধ্যে, সেটা ওখানে একটা রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছে। আপনি খোঁজ নেবেন। আমরা খুব অসন্তোষ প্রকাশ করছি।’

পতিত স্বৈরাচার এবং তাদের দোসর একটি দেশ এই সুযোগ নেওয়ার জন্য বসে থাকবে বলে সতর্কবার্তা দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘সুতরাং আমাদেরকে একদম অতি বিপ্লবী হলেও চলবে না। আমাদেরকে বাস্তবতার নিরিখে পদক্ষেপটা নিতে হবে।’

এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় উপদেষ্টা, আমাদের কন্টিনিয়াস সমর্থন আপনার প্রতি ছিল, আছে। কিন্তু এটা কন্ডিশনাল (শর্তসাপেক্ষ)। আমাদের সমর্থন আরও অব্যাহত থাকবে, তবে এটা সীমাহীন নয়। আমরা চাই, আপনার নেতৃত্বে একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন, এটাই হচ্ছে কন্ডিশন (শর্ত)। আপনার প্রতি আমাদের সীমাহীন সমর্থন নয়, আমাদের সীমারেখা আছে। আমরা গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য এই সীমারেখার মধ্যে আপনাকে সমর্থন দিচ্ছি, আপনি দয়া করে এটা অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন।’

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর সেটা সরকার প্রকাশ করলে মানুষ দেখবে-বুঝবে এবং তার ভিত্তিতে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ ভোট দিয়ে তাদের রায় জানাবে বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। এই গণভোট জাতীয় নির্বাচনের দিনে হওয়ার পক্ষে অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গণভোটটা আগে হবে, না পরে হবে, এটা তো ঘটনা একই। এটা তাল ধপ করিয়া পড়িল, না পড়িয়া ধপ করিল, কথা তো একই। এখন যদি একই দিনে একটা ছোট্ট ব্যালটে গণভোট হয় সেটা আমাদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক এবং ব্যয়বহুল হবে না। আলাদা ম্যানপাওয়ার অ্যারেঞ্জমেন্ট করতে হবে না। আলাদা নির্বাচনী বাক্স হবে না।’

এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, যারা আগে গণভোট চাইছে, সেটা অবশ্য তাদের অধিকার আছে। কিন্তু এটা কতটা যৌক্তিক আপনারা সবাই একটু চিন্তা করে দেখবেন এবং আমরা মনে করি, সেটা নির্বাচন বিলম্বিত করার একটা প্রয়াসও হয়তোবা হতে পারে।’