সংস্কার নিয়ে যতটুকু ঐকমত্য, সেখানেই ক্লোজ দ্য চ্যাপ্টার: আমীর খসরু


অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে যেসব দেশ যত তাড়াতাড়ি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে পেরেছে, সেসব দেশ ভালো আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনায় বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে ‘সংস্কার ও নির্বাচন: প্রেক্ষিত জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, ‘যেসব দেশ তর্ক-বিতর্ক করে গণতন্ত্রে ফিরতে দেরি করেছে, সেখানে গৃহযুদ্ধ, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এসেছে। ওই সব দেশ ভালো নেই। আমরা বাংলাদেশকে সেদিকে নিয়ে যেতে পারি না।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘১৪ মাস পরও আমরা তর্ক-বিতর্ক করছি। অথচ আমাদের পাশের নেপালেই উদাহরণ আছে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার। আজ ১৪ মাসে বাংলাদেশ আবারও প্রতিনিধিত্বহীন দেশ হিসেবে পরিণত হয়েছে।’
‘এই ধারার পরিবর্তনে দেশের মানুষ নির্বাচিত সরকার চায়, প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ চায়। সে সরকারের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা থাকবে,’ যোগ করেন তিনি।
জাতীয় ঐক্য ও সংস্কারের বিষয়ে জোর দিয়ে খসরু প্রশ্ন তোলেন, ‘যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে। তার ভিত্তিতে ক্লোজ দ্য চ্যাপ্টার। এখানে পিআর নিয়ে এত আলোচনা কেন? জাতিকে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত-বিভক্ত করছি কেন?’
এ সময় গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশে সকাল-বিকেল এমপি বেচাকেনা হবে।
পিআর পদ্ধতির বাস্তবায়ন নিয়ে রাশেদ খান তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, নিম্নকক্ষে (জাতীয় সংসদ) পিআর বাংলাদেশের বাস্তবতায় কখনোই সম্ভব নয়, তবে উচ্চকক্ষে পিআর নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, পিআর পদ্ধতি চালু হলে এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন সম্ভব হতে পারে এবং এর ফলে দেশে আরেকটি জাতিগত বিভাজন ও ধর্মীয় দাঙ্গা লাগার শঙ্কা তৈরি হবে।
রাশেদ খান প্রশ্ন তোলেন, পিআর হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভাগ্য কী হবে, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
রাশেদ খান অভিযোগ করেন, ‘সংস্কার ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না’–এমন বক্তব্যের মধ্যদিয়ে কমিশন বা সরকার দায় এড়াতে চাইছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভিন্নমতকে ঐকমত্যে নিয়ে আসার দায়িত্ব সরকারের, এবং সবার বক্তব্য শুনে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে।