ডিসেম্বরের পর জাতীয় নির্বাচন পেছানোর যৌক্তিকতা নেই: সালাহউদ্দিন

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০২ জুন ২০২৫, ১০:২৭ পিএম
ডিসেম্বরের পর জাতীয় নির্বাচন পেছানোর যৌক্তিকতা নেই: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলে অধিকাংশ সংস্কার এক মাসের মধ্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব। সেই হিসেবে ডিসেম্বরের পর নির্বাচন পেছানোর যৌক্তিকতা নেই।

সোমবার (২ জুন) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো উল্লেখযোগ্য একটি কারণও নেই।’

সালাহউদ্দিন দাবি করেন, বৈঠকে প্রায় সব রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত প্রস্তাব বিবেচনায় নেবেন।’

বিএনপি নেতা, ‘আমরা আশা করি, জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে তিনি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন এবং ব্যক্তিগত আবেগ বা পক্ষপাত থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবেন। জাতি তার কাছ থেকে নির্ভেজাল নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি মনে করে ডিসেম্বরের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। এর আগে আমরা জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনী ব্যবস্থাসংশ্লিষ্ট প্রধান সংস্কারগুলো চিহ্নিত করে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে তা বাস্তবায়ন করতে পারি।’

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এমন কোনো সংস্কার নেই, যা এক মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়। আমরা আজ একটি প্রতিবেদন পেয়েছি যেখানে বলা হয়েছে, আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বিভিন্ন খাতে একাধিক সংস্কার অধ্যাদেশ জারি করে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

আরও অনেক সংস্কার প্রক্রিয়াধীন আছে। সেগুলো অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ বা প্রশাসনিক নির্দেশনার মাধ্যমেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে দাবি করেন তিনি।

এর আগে সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা বৈঠকে অংশ নেয়।

প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংলাপে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দল প্রথম দফার আলোচনায় অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করা প্রধান সংস্কারগুলোর বিষয়ে মতবিরোধ নিরসনের লক্ষ্যে এই বৈঠকে অংশ নেয়।

বিএনপির প্রতিনিধিদলের অন্য দুই সদস্য হলেন দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিহুল্লাহ এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সংস্কার নিয়ে একটি বিস্তৃত রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে চলতি বছরের শুরুতে শুরু হওয়া ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এর আগে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মে পর্যন্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম দফার আলোচনা সম্পন্ন করে।

এতে অধিকাংশ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে এখনও মতবিরোধ রয়েছে।