সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে জিম্মি করে রেখেছিল হাসিনা: সারজিস আলম


বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পৃথিবীর যেকোনো বাহিনীকে টেক্কা দেয়ার সক্ষমতা রাখলেও অতীতে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা তাদের জিম্মি করে রেখেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে উত্তরাঞ্চলে চতুর্থ দিনের গণসংযোগ ও পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘হাসিনার কারণে বিজিবি এতদিন ভারতের বিরুদ্ধে তাদের শক্তিমত্তা প্রকাশ করতে পারেনি। সীমান্তে পুশইনের ঘটনা বাংলাদেশবিরোধী ভারতের ষড়যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখনো সন্তোষজনক নয়। যে ব্যক্তি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশের হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন, তাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। তাই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে প্রতিবেশীর মতো আচরণ করতে হবে। যতদিন শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেবেন, ততদিন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।’
সীমান্তে পুশইন বন্ধে বিজিবির পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে সারজিস বলেন, ‘ভারত তাদের নাগরিক কিংবা এজেন্টদের বাংলাদেশে পুশইনের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করছে। এ কারণে শুধু বিজিবি নয়, এই অঞ্চলের প্রতিটি নাগরিককেই সজাগ থাকতে হবে।’
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখনই দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র দেখবেন, তখনই তা প্রতিহত করুন।’
বিদ্যুতের লোডশেডিং প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। ভারতের আদানিদের পকেট ভারি করলেও দেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। দিনে ৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীতে উন্নয়নের জন্য টাকার বিনিময়ে ভোট বিক্রির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। যারা টাকা নিয়ে ভোট চাইতে আসবে, তাদের প্রতিহত করুন। যোগ্য প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করুন।’