ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশেও ঈদযাত্রা পুরোপুরি নিরাপদ করা যায়নি: জামায়াত

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৬ মার্চ ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশেও ঈদযাত্রা পুরোপুরি নিরাপদ করা যায়নি: জামায়াত
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম ও কিয়াম পালনের পর জাতি ঈদ উৎসবের মুখোমুখি এসে দাঁড়ালেও তারা মোটেই স্বস্তিতে নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

বুধবার (২৬ মার্চ) ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে দেয়া এক যৌথ শুভেচ্ছা বাণীতে তারা এ মন্তব্য করেন।

উত্তরের দুই নেতা বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম ও কিয়াম পালনের পর জাতি ঈদ উৎসবের মুখোমুখি এসে দাঁড়ালেও তারা মোটেই স্বস্তিতে নেই। এবার ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে চললেও ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা পুরোপুরি নিরাপদ করা যায়নি। পরিবহন সংকট ও বাড়তি ভাড়া আদায়সহ নানাবিধ কারণে এখন পর্যন্ত জনগণের ঈদযাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হয়ে ওঠেনি। তাই ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন ও ঈদকে আনন্দঘন করতে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
 
ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
 
আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় ন্যায়- ইনসাফ, মানবিক মূল্যবোধ ভিত্তিক শোষণ, বঞ্চনা, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত কল্যাণমুখী গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপনে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি ও তাক্বওয়া অর্জনের মাস মাহে রমযান বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে। মূলত, রমযান হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও আত্মিক উন্নতি, আল্লাহর সান্নিধ্য ও নৈকট্য লাভের উত্তম মাধ্যম। এরমধ্যেই রয়েছে আর্ত-মানবতার সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও মুক্তি। ঈদের প্রকৃত শিক্ষাই হচ্ছে আর্ত-মানবতার কল্যাণ এবং বিপন্ন ও অভাবগ্রস্ত মানুষের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতরে গণমানুষের কল্যাণ ও দারিদ্র বিমোচনে যাকাত ও সাদাকাতুল ফিতর যথাযথভাবে আদায় করতে হবে।
 
তারা আরও বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম ও কিয়াম পালনের পর জাতি ঈদ উৎসবের মুখোমুখি এসে দাঁড়ালেও তারা মোটেই স্বস্তিতে নেই। স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদের পতন হলেও রাষ্ট্রের প্রায় সব সেক্টরেই তাদের প্রতিভূরা এখনো সক্রিয় থেকে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অন্তর্বতী সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণে অন্য বারের তুলনায় এবার দ্রব্যমূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও নানান কারণে পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক ছিল না। সর্বোপরি ফ্যাসিবাদের দোসররা পুরো রমজান ধরেই দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে পুরো দেশকে অস্থিতিশীল করার নানাবিধ অপচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার ঐক্য অটুট থাকায় তারা খুব একটা সফল হতে পারেনি।