ভালুকায় পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত ৩০


ছয় দফা দাবিতে ময়মনসিংহের ভালুকায় তৈরি পোশাকের একটি কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের সময় ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
সোমবার (১০ মার্চ) বেলা পৌনে ১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় এই পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সোমবার বেলা পৌনে ১টার দিকে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এল স্কয়ার লিমিটেড নামে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাসসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন। শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করলে শিল্প ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পাঁচ দাবি মেনে নিলেও ঈদ বোনাসের বিষয়টি সমাধান হয়নি। এ সময় মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরে যেতে বলা হলেও শ্রমিকরা সড়ক থেকে না সরে বাগবিতণ্ডায় জড়ান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রমিকরা মহাসড়ক ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ লাঠিপেটা ও ১২টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষে শিল্পপুলিশ-৫–এর এসপি আবদুল্লাহ আল মাহমুদসহ ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া কমপক্ষে ২৩ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শিল্পপুলিশের এসপি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, এল স্কয়ার পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করলে কারখানা কর্তৃপক্ষ পাঁচ দাবি মেনে নেয়। কিন্তু কারখানায় কোনও শ্রমিক এক বছর কর্মরত না থাকলে ঈদ বোনাস প্রাপ্য হবেন না, এমন তথ্য জানার পর শ্রমিকরা সড়কে শুয়ে পড়েন। অন্যায্য শর্তের প্রতিবাদ জানান তারা।
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের অবস্থানের কারণে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত থেকে থেকে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে আমিসহ ১২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। পরে আমরা বাধ্য হয়ে লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছি।’