আগে পুলিশ ছিল না, পুলিশলীগ ছিল: জিএমপি কমিশনার
জুলাই-আগস্টের আগে গায়েবি মামলার মাধ্যমে মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান। তিনি বলেছেন, পুলিশ নির্বাচারে গুলি করেছে। মানুষকে হত্যা করেছে। অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে। যারা এটি করেছেন তারা ঘৃণ্যতম অপরাধ করেছেন। এর মাধ্যমে পুলিশের ইমেজ নষ্ট করেছেন। পুলিশকে আক্রান্ত হতে হয়েছে। আমরা সেখান থেকে বের করতে চাই। পুলিশ জনগণের পাশে থাকতে চাই।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের আগে যে পুলিশ ছিল দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সে পুলিশ একজন আরেকজনের জন্য উপকারের মধ্যে ছিল। সেই পুলিশ জনগণের উপকার তো দূরের কথা, অপরাধীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল। তখন পুলিশ ছিল না, পুলিশ লীগ ছিল।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে জয়দেবপুর বাসস্ট্যান্ডে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জিএমপি কমিশনার।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, ডিসি ক্রাইম রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, ডিসি ট্রাফিক ইব্রাহিম খান, বিএনপি নেতা হান্নাম মিয়া হান্নু, মোফাজ্জল হোসেন, সাইফুল ইসলাম টুটুল, সমন্বয়ক ইসহাক টিপু, সাদেকুজ্জামান, সদর থানার ওসি আরিফুর রহমান প্রমুখ।
জেলাবাসীর উদ্দেশে জিএমপি কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেন, জুলাই-আগস্টের আগের পুলিশ আর বর্তমান পুলিশ ভিন্ন পুলিশ। এটি আমি প্রমাণ করে যাবো। আপনাদের সহযোগিতায় আমি এলাকাকে মাদকমুক্ত করে যাবো।
তিনি বলেন, ‘থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা অভিযোগ করতে গিয়ে পুলিশকে যদি পাঁচ টাকাও দিতে হয়, আমাকে জানাবেন; তার চাকরি করার দরকার নেই। সে পুলিশের চাকরি করবে না, এটা নিশ্চয়তা দিতে চাই, যতদিন আমি আছি। যে পুলিশ ছিনতাইকারী ও মাদকের পক্ষে অবস্থান নেবে, আপনারা আমাকে জানাবেন। পুলিশকে ভালো হতে হবে। পুলিশকে ভালো করার মাধ্যমে সমাজকে ভালো করতে চাই।’
গাজীপুরে জনসংখ্যার তুলনায় পুলিশের সংখ্যা খুবই কম উল্লেখ করে জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এখানে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের জন্য একজন পুলিশ কাজ করছে। তাই পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। যারা পুলিশের সাথী হবে তাদের নিয়ে আমরা অপরাধীদের ধরতে চাই। পুলিশের মতো আপনাদেরও গ্রেফতারের ক্ষমতা আছে। জনগণকে এটা আইনিভাবে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো মাদক ব্যবসায়ী দেখতে পান, তাহলে তাকে ধরুন। পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যাবে।’