জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বৈশ্বিক আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা অপরিহার্য: রিজওয়ানা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত:২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম
জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বৈশ্বিক আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা অপরিহার্য: রিজওয়ানা
ছবি- সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় টেকনিক্যাল ও ফিন্যান্সিয়াল সাপোর্ট অপরিহার্য। বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্ত করতে প্রশাসনের ভেতরে গবেষণা, নীতি প্রণয়ন ও অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি জরুরি।

তিনি উল্লেখ করেন, ১০০ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু তহবিল নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা চলছে, কিন্তু এর বাস্তবায়নে এখনো ঘাটতি রয়েছে। 

রোববার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত “The Draft Position Paper for COP-30” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু আলোচনায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালকে নিয়ে একটি কার্যকর গ্রুপ গঠন করা গেলে তা হবে অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ। পরিকল্পিত যোগাযোগ, তথ্য আদান-প্রদান ও যৌথ উদ্যোগই জলবায়ু কূটনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনেক কিছু শিখেছে, তবে ক্লাইমেট জাস্টিস, ফান্ডিং, প্রজেকশন এবং শ্রমিকদের স্বার্থ—এই ক্ষেত্রগুলোতে আরও সক্রিয় হতে হবে। প্রতিবাদ ও ভালোবাসা থাকলেও বাস্তবায়নের ঘাটতি রয়ে গেছে, তাই এখন সমন্বিত উদ্যোগই একমাত্র পথ।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি।

এ সময় বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন উইং) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত, যুগ্মসচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ধরিত্রী কুমার সরকার এবং পরিচালক (জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন) মির্জা শওকত আলী।

অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত আলোচনায় দেশের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও অ্যাক্টিভিস্টগণ অংশ নেন। তারা আসন্ন COP-30 সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে আরও জোরালো ও কৌশলগত অবস্থান উপস্থাপনের আহ্বান জানান।

এর আগে উপদেষ্টা রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত “Bangladesh Steel Industry: Driving Sustainability, Seismic Resilience, and Advanced Refined Steel for Maximum Consumer Satisfaction” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশবান্ধব নির্মাণশৈলীর ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং টেকসই শিল্পায়নের জন্য আহ্বান জানান।

পরে উপদেষ্টা আগারগাঁও পরিবেশ অধিদপ্তরে International Fund for Agricultural Development (IFAD)-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ও রিপ্রেজেনটেটিভ Dr. Ir. Valantine Achncho-এর সঙ্গে বৈঠক করেন।